শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানিতে আগ্রহী ৪২ প্রতিষ্ঠান!

নতুনধারা
  ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০৫
স্বর্ণ

যাযাদি রিপোর্ট দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী থাকলেও বৈধপথে স্বর্ণ আমদানিতে তেমন আগ্রহী নয় তারা। চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিলার নিয়োগে আবেদনপত্র আহ্বান করা হলেও, এ সময়ের ভেতর মাত্র ৪২টি প্রতিষ্ঠান ডিলার হিসেবে স্বর্ণ আমদানির অনুমতি চেয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলেন, এ ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করলেও মুনাফার পরিমাণ অনেক কম, তাই কেউ ডিলার হতে চায় না। বাংলাদেশ জুয়েলারি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক বলেন, এটি একটি জটিল ব্যবসা। তাই অনেকেই করতে চায় না। আর প্রফিটও খুবই কম। মাত্র ২০ থেকে ২৫ সেন্ট লাভে প্রতি আউন্সের কেনা-বেচা হয়। যারা ডিলারশিপ নেবে, তারা অনেক বড় ভলিউমে কেনা-বেচা করতে না পারলে টিকে থাকতে পারবে না। এদিকে দেশে কী পরিমাণ স্বর্ণের চাহিদা আছে, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে সঠিক হিসাব দিতে পারেননি ব্যবসায়ী নেতারা। দেশে বেচা-কেনার পুরোটাই মূলত পুরনো অলঙ্কার ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা প্রবাসীদের স্বর্ণে হয় বলে জানায় তারা। ডিলারশিপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণ আমদানির ডিলার হওয়ার আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। এ সময় পর্যন্ত একটি ব্যাংকসহ ৪২টি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন চেয়েছে। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে খুব শিগগিরই অনুমোদন দেওয়া হবে। আমিন জুয়েলার্স, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, বাংলা গোল্ড, ঢাকা গোল্ড, জড়োয়া হাউজ, রত্না জুয়েলার্স ও মধুমতি ব্যাংকসহ ৪২টি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানি করতে চায় বলে জানান এ ব্যাংক কর্মকর্তা। ডিলারশিপ নীতিমালা অনুসারে প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানিতে সরকারকে ২ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে ব্যবসায়ীদের। তবে শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে ১ হাজর টাকা করার দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির জন্য প্রায় এক বছর আগে এ নীতিমালা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে