শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খোকা-আব্বাস-ফালুরা ক্যাসিনো চালু করেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

নতুনধারা
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
মঙ্গলবার রাজশাহী সার্কিট হাউস মাঠে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ -যাযাদি

যাযাদি ডেস্ক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাসিনো সংস্কৃতি বিএনপি আমলেই শুরু করা হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা এগুলো শুরু করেছিলেন। তখন ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায় এগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। হাছান মাহমুদ বলেন, এখন কে কোন দলের বা মতের তা না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেখানে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তদন্তসাপেক্ষে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি আয়োজিত 'গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর, তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ' শীর্ষক অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক-অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। কে কোন দলের বা মতের দেখা হচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শীর্ষ পর্যায় থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। হাওয়া ভবন তৈরি করে প্রত্যেক ব্যবসায় শতকরা ১০ ভাগ কমিশন নেয়া হতো। তারেক রহমানের ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে এত দিন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যবস্থা যে আগেও নেয়া হয়নি তা নয়। ব্যবস্থা আগেও নেয়া হয়েছে। এখন একেবারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ এসেছে, 'জি কে শামীম প্রতি মাসে ১ কোটি টাকা করে তারেক রহমানকে দিত। বিএনপির অনেক নেতাকেও তিনি পয়সা দিতেন। অর্থাৎ এই যে ক্যাসিনো কালচার যারা শুরু করেছিল, তারাও নিয়মিত মাসোহারা পেত। আমরা কে কোন দলের বা মতের সেটি না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি।' তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, 'চলমান এই অভিযান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন একটি দল। আমরা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আজকেও পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, সাতজন নামকরা, যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তাদের ছয়জনই অনুপ্রবেশকারী। এরা আওয়ামী লীগের নয়। এরা মির্জা আব্বাসের সৃষ্টি, অথবা কোকোর সৃষ্টি- এদের সৃষ্টি। এই দানবগুলোকে তো এখন ধরা গেছে।' রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০১৪ সাল থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি অবহিত করা হলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, 'আমি বিষয়টি প্রথম শুনলাম। অন্য কোথাও এমন নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা আমি জানি না। আমি এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। নিশ্চয় কারণটা জানতে পারব। তখন এ বিষয়টির সমাধান হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে