শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আ'লীগের অনেক নেতা নজরদারিতে: কাদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ওবায়দুল কাদের

অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযানে দলের অনেক নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে কারও বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে কিনা তা জানাতে পারেননি তিনি। আওয়ামী লীগের ১০৭ জন নেতার দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারির যে খবর সংবাদ মাধ্যমে বেরিয়েছে সে প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, "বাইরে যাওয়ার বিষয়ে কতজনের বিরুদ্ধে নির্দেশনা রয়েছে আমি জানি না। সার্ভেইল্যান্সে আছে অনেকে, সেটা আমি জানি। সংখ্যাটা আমি ঠিক জানি না।" দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা নজরদারিতে আছে কিনা জানতে চাইলে কাদের বলেন, "সব তো আওয়ামী লীগের লোকজনই। আগে কোন দল ছিল এটা বলে তো লাভ নেই। আমি আমার দলে নিলাম কেন? এখন সে আমার দলের পরিচয়ই ব্যবহার করছে। কাজেই আমি ঘর থেকেই অভিযান শুরু করেছি।" ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর তথ্য প্রকাশের পর আত্মগোপনে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতির খোঁজ মিলছে না কোথাও; কার্যালয়েও যাচ্ছেন না, বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে সংগঠনের কর্মীরা জানিয়েছেন। গত বুধবার ঢাকার মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাব এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্রের্ যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো মেলার পাশাপাশি সেগুলো পরিচালনায় যুবলীগ নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে, পরদিন কলাবাগান ক্লাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কৃষক লীগের নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে। দুদিন পর গ্রেপ্তার করা হয় ঠিকাদার জি এম শামীমকে, যিনিও যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন। ক্যাসিনো আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, "ক্যাসিনো বিষয়ে এখন টার্বুলেন্স (তোলপাড়) চলতেছে। এ সময়ে এটা নীতিমালার মধ্যে এনে চালু করা হবে, নাকি একেবারেই আইডিয়াটা বাদ দেয়া হবে- এ নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কোনো আলাপ-আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি। কাজেই এ বিষয়ে এ মুহূর্তে মন্তব্য করতে চাই না।" আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন নজরদারিতে আছে কি না? -জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণমন্ত্রী বলেন, 'সব তো আওয়ামী লীগের লোকজনই। আগে কোন দল ছিল এটা বলে তো লাভ নেই। আমি আমার দলে নিলাম কেন? এখন সে আমার দলের পরিচয়ই ব্যবহার করছে। কাজেই আমি ঘর থেকেই অভিযান শুরু করেছি।' গত কয়েক দিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধার করছে। এসব ক্লাবের সাথে ক্ষমতাসীন দল ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের জড়িত থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে, গ্রেপ্তারও হচ্ছেন কেউ কেউ। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার বিষয় জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন,'বিশ্বব্যাংক একসময় পদ্মা সেতু নির্মাণে সহায়তা করতে চেয়েছিল, কিন্তু নানা জটিলতার কারণে তা নেওয়া হয়নি। এখন নতুন করে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। তারা সড়ক নিরাপত্তায় সহায়তা দিতে চায়। ঝিনাইদহ থেকে হাটিকুমরুল (১৬০ কিমি) ও ঝিনাইদহ থেকে ভোমরা (১০০ কিমি) এই দুটি ২৬০ কিমি রাস্তা তারা ফোর লেন করে দিতে চায়। তারা এই প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা যদি তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করি, তাহলে তাদের ফিরতি চিঠি লিখব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে