শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্লাইওভারেও বালি-কাদা দুর্ঘটনার শঙ্কায় চালকরা

নতুনধারা
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০৫
রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের দুই পাশে এভাবেই জমেছে বালি-মাটির স্তূপ -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না করায় রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভারের দুই পাশে বালি-মাটির স্তর জমেছে। একটু বৃষ্টি হলেই এ বালি ভিজে কাদায় পরিণত হয়। বালি কিংবা কাদা- দুই পরিস্থিতিতেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপদের শঙ্কা মোটরসাইকেলগুলোর জন্য। ফ্লাইওভারের ওপরে জমে থাকা বালি-মাটি যখন শুকনো থাকে, তখনো এর ওপর দিয়ে চলাচল করার সময় গাড়ির চাকা স্স্নিপ করে। এক্ষেত্রে বেশি বিপদে পড়তে হয় মোটরসাইকেলকে। রাস্তার সঙ্গে ঘর্ষণ কমে গিয়ে চাকা স্স্নিপ করার ঘটনাও ঘটে। বৃষ্টি হলেতো কোনো কথাই নেই, বালি-মাটি ভিজে একেবারে মরণফাঁদ। যে কোনো সময় সেখানে চাকা স্স্নিপ করে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে খোলা ট্রাকে মাটি ও বালি পরিবহনের সময় সেখান থেকে পড়ে পড়ে এসব বালি-মাটি জমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কখনো কখনো সিটি করপোরেশনের ময়লার ট্রাক থেকেও এ ময়লা পড়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। সচরাচর ফ্লাইওভারের ওপরের অংশ পরিষ্কার করতে দেখা যায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বৃষ্টিতে ধুয়ে গিয়ে যতটা পরিষ্কার হয় তার ওপর ভরসা করতে হয়। কুড়িল ফ্লাইওভার দিয়ে মোটরসাইকেলে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন সুমন দাস। তিনি বলেন, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বালি-কাদা জমে। এখন দেখি ফ্লাইওভারের ওপরও বালি আর কাদা। সুমন বলেন, ফ্লাইওভারে উঠতে এবং নামতে ঢালু। এছাড়া সাধারণ রাস্তার চেয়ে ফ্লাইওভার সরু। ফ্লাইওভারের রেলিং বা কিনারা ঘেঁষে যে বালু বা ভিজে যে কাদা সৃষ্টি হয়, তার ওপর চাকা গেলে স্স্নিপ করে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক কাওছার বলেন, সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়। দুই পাশের বালি-কাদা বাদ দিয়ে চালাতে হয়। কখনো কখনো পাশ থেকে বাস বা অন্য গাড়ি ওভারটেক করার সময় বেকায়দায় পড়তে হয়। শিহাবউদ্দিন নামে একজন বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে যারা আছেন তারা তাদের কাজটা ঠিকমত করছেন না। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। একটা দুর্ঘটনা হলে তখন হয়তো সবার নজরে আসবে, কিন্তু দুর্ঘটনার আগেই অ্যাকশন নেয়া দায়িত্বশীলতার পরিচয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে