যাযাদি রিপোর্ট
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন ও ৪০ হাজার লিটার মেথরিয়ান কীটনাশক ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, উত্তর সিটি করপোরেশনে দ্রম্নততম সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন এবং ৪০ হাজার লিটার (রেডি ফর ইউজ) কীটনাশক স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাজারদরে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বাবদ ৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এক মাসের মধ্যে এসব যন্ত্রপাতি ও কীটনাশক দেশে আসবে। এসব ক্রয়ের জন্য টেন্ডার করলে অনেক সময় লাগবে। জাতির কথা বিবেচনা করে এ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েক দেশ সফর করেছেন। তারা পরে সিঙ্গাপুর যাবেন। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে, মশাকে আকৃষ্ট করে তারা একত্রে মারে। তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়। আমাদের আগে মশা তাড়ানো হতো, তাই লাভ বেশি হয়নি। আমরা দেখছি মোটামুটি পরিবর্তন আসছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের ডেঙ্গু স্মরণকালের ভয়াবহতা দেখিয়েছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বিষয়টি জাতীয়ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। শুরুর দিকে সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকলেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী আরো জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জন্য এ সংক্রান্ত প্রস্তাব না পাওয়ায় এবার শুধু উত্তর সিটির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উত্তর সিটি যেহেতু কিনছে, দক্ষিণেও হয়তো কিনবে। মশা মারার এ কার্যক্রম বছরব্যাপী চলবে। শীত বেশি হলে এত মশা থাকবে না।