আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি রিপোর্ট

আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে রোহিঙ্গা সংকট জিইয়ে রাখতে চাইছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে এই দাবি করেন তিনি।

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর দ্বিতীয় দফা উদ্যোগ গত সপ্তাহে ভেস্তে যাওয়ার পর তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

বাংলাদেশে আগে থেকে চার লাখের মতো রোহিঙ্গা ছিল। দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানের পর সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে।

প্রাণ বাঁচাতে ছুটে আসা এই রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কারণে সীমান্ত খুলে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়ায় বাংলাদেশ সরকার। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য এত শরণার্থী রাখা সম্ভবপর নয় বলে প্রত্যাবাসনে জোর দেয়া হচ্ছে এখন।

গয়েশ্বর বলেন, 'আজকে বুঝতে হবে রোহিঙ্গারা যেতে চায় না কেন? তারা (রোহিঙ্গা) গেলে সেখানে আপনি (সরকার) কোনো রাজনৈতিক পুঁজি ব্যবহার করতে পারবেন না, এই ভয় থেকে তাদের স্থায়ীভাবে এখানে রেখে জাতীয় সংকট সৃষ্টি করতে চান। সে ধরনের কথা আছে।' রোহিঙ্গা সংকট জটিল করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের পাল্টায় ইন্ধনদাতা হিসেবে সরকারকেই দায়ী করেন গয়েশ্বর।

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সাম্প্রতিক সমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে স্বয়ং সরকার। যদি ইন্ধন না দেয়, তাহলে তারা লাখ লাখ লোক সমবেত হয়ে সমাবেশ করে কীভাবে? তারা মিছিল করে কীভাবে?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুমতি দেয় না পুলিশ সভা-সমাবেশ করতে, অথচ রোহিঙ্গাদের যখন সমাবেশ করতে দেন, আমি তো মনে করি এর পেছনে সরকারেরই ইন্ধন আছে অন্য কোনো কল-কাঠি নাড়ার।'

রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে 'জাতীয় সংকট' আখ্যায়িত করে গয়েশ্বর বলেন, 'সরকার যদি মনে করে, এটা তার সমস্যা তাহলে বোকামি করবে। এই সমস্যাটা জাতীয় সমস্যা, এটা সমাধানের ক্ষেত্রে একটা কালেকটিভ লিডারশিপ দরকার।'