মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্যাতন হলে প্রতিবাদ করা ইতিহাসের শিক্ষা: ঢাবি ভিসি

নতুনধারা
  ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ আগস্ট ২০১৯, ১১:৪৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'কালো দিবস' পালন উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে টিএসসিতে আয়োজিত সভায় বক্তৃতা করেন ঢাবি উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট নির্যাতন হলে প্রতিবাদ করা ইতিহাসের একটি শিক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের ওপর সেনাবাহিনী সংঘটিত ঘটনার নিন্দা জানাতে প্রতি বছর ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'কালো দিবস' পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা কালোব্যাজ ধারণ করে আলোচনা সভায় অংশ নেন। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে খেলা চলছিল। সেখানে সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল, সেই ক্যাম্পের দু'একজন সদস্যের সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা সেখানে নির্যাতিত হন। এবং সেই নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা তারা তখন প্রতিবাদ করে। এটি হলো আমাদের ইতিহাসের একটি শিক্ষা। তবে সেনাবহিনীকে জাতীয় প্রতিষ্ঠান উলেস্নখ করে ভুলক্রমে এটিকে সেনাবাহিনীর আক্রমণ বলা হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। দিবসটির তাৎপর্য উলেস্নখ করে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, সেদিন যারা কর্তৃপক্ষের অবস্থানে ছিল, সেটি হোক সরকারি প্রশাসন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই প্রশাসনের অনেক শিক্ষা গ্রহণের কথা ছিল সেটি হলো এরকম- নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা যখন দাবি তুললো, সেই দাবিগুলো ছিল ন্যায়সঙ্গত। যারা নির্যাতিত হয়, তখন তারা সেই নির্যাতনের প্রতিকার চায়। তখন তারা চেয়েছিল সেটির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করা হোক। 'যারা আক্রমণকারী সদস্য তারা যেন ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের ন্যায়সঙ্গত বক্তব্য ছিল। আমরা সেদিন যদি যারা যেখানে প্রশাসনে ছিল, সেটা যদি ওইদিন সঠিকভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হতাম এবং দাবিগুলো যদি পূরণ করার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটতো না।' এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অপরদিকে একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ছাত্র-শিক্ষকবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষকদের একটি অংশের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশের সভাপতিত্বে ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে