যাযাদি রিপোর্ট কারুশিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির কারুশিল্পের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। এটি আমাদের সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। প্রযুক্তির যুগে মানুষের লাইফস্টাইল পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের ঐতিহ্য তথা কারুশিল্পকে এখনো ধরে রেখেছি। শুক্রবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফটস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় কারুশিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এইচ টি ইমাম বলেন, কারুশিল্প নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফটস ফাউন্ডেশন এ শিল্প নিয়ে যে কাজ করছে, তাতে আমরা আনন্দিত। সরকার আপনাদের পাশে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে সহযোগিতা করা দরকার, তা করা হবে। এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ অব্যাহত রাখবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত এইচ ই ট্রান ভান খোয়া বলেন, বাংলাদেশের কারুশিল্পের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এ শিল্প অনেক সমৃদ্ধ। ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভিয়েতনামেও অনেক ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্পট রয়েছে। তাই বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিয়েতনাম আকর্ষণীয় গন্তব্য বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ হেরিটেজ ক্রাফটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি টুটলি রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উৎসব উদ্যাপন কমিটির উপদেষ্টা রোকিয়া আফজাল রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মনজুর কাদপর, গুলশান সোসাইটির সভাপতি সাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ, নারী উদ্যোক্তা দিলরুবা আহমেদ প্রমুখ। দুই দিনব্যাপী এ মেলার প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত, যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রদর্শনীতে শখের হাঁড়ির পাশাপাশি অন্যান্য কারুশিল্প যেগুলো বাংলাদেশি ঐতিহ্যের অংশ, সেগুলো প্রদর্শিত হবে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত খাদ্য, ঢাকাই পনির, বাখরখানি, পিঠা, ঢাকাইয়া জামদানি, রাজশাহী সিল্ক, মসলিনসহ দেশীয় তাঁতপণ্য প্রদর্শিত হবে।