আজকের যায়যায়দিন

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত খুনিদের ঘৃণা জানানোর আহ্বান জানিয়ে 'বিশ্ব বিবেকের কাছে খোলা চিঠি' পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, পশ্চিমারা সারাবছর মানবাধিকারের কথা বললেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানকে আশ্রয় দিয়ে নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এ সময় বক্তারা বিশ্ববাসীর কাছে তারেকসহ খুনিদের ঘৃণা জানানোর আহ্বান জানান।

বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগ। এ সময় চট্টগ্রামের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ফেস্টুনে লেখা একটি প্রতীকী চিঠি ও বেলুন উড়িয়ে দেন। চিঠিতে লেখা ছিল, 'বিশ্ব বিবেক ঘৃণা জানাও'।

এর আগে আ জ ম নাছির বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি চিহ্নিত শক্তি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে চিরদিনের জন্য মুছে ফেলার।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যাচেষ্টার পর জজ মিয়া নাটক সাজানো হয়েছিল। যা তখনকার ডিজিএফআই প্রধান আদালতে স্বীকার করেছেন।

\হআইনি প্রক্রিয়ায় তারেকের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। সেই খুনিকে আশ্রয় দেয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত হতে হবে। তাদের উদ্দেশেই আজকের খোলা চিঠি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, শিশু সংগঠক এটিএম সিরাজুল ইসলাম, নাগরিক উদ্যোগ আহ্বায়ক পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, নগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভাপতি মোজাফ্‌ফর আহমদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হলেন চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপস্নব প্রমুখ।