আজকের যায়যায়দিন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী আবদুলস্নাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলার রায় সোমবার (১৫ জুলাই) ঘোষণা করা হয়নি। মামলাটির আবারও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত।

সোমবার ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন এই দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। নোমানের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য একটি আবেদন করেন।

আবেদনে তিনি বলেন, 'মামলার কিছু সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ বাদ পড়েছে। আমরা আপনার আদালতে তা নামঞ্জুর হওয়ার পর উচ্চ আদালত আবেদন করি। উচ্চ আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে। এ সময় তিনি উচ্চ আদালতের আদেশনামা দাখিল করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১ আগস্ট দিন ধার্য করে।'

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

১৯৯৭ সালের ৭ আগস্ট জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর নোমানের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করে দুদক। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর নোমান নোটিশ গ্রহণ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেননি। এমনকি সময় বৃদ্ধির জন্য কোনো আবেদনও করেননি।

এ ঘটনায় ১৯৯৮ সালের ১৯ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দুদকের কর্মকর্তা আবদুলস্নাহ আল জাহিদ বাদী হয়ে নোমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০০০ সালের ৩০ মে নোমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রম্নয়ারি তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন (অভিযোগ) করে আদালত।

মামলার আটজন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় সাতজন সাক্ষ্য দেন।