শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক বহনে ‘পাঠাও’ ব্যবহার করা হচ্ছে

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব
যাযাদি রিপোটর্
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ জুন ২০১৮, ২২:২৭
রাজধানীর উত্তরা থেকে ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ী ও রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ‘পাঠাও’ চালককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবিটি রোববার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টার থেকে তোলা Ñযাযাদি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানে নিত্যনতুন কৌশল খুঁজছে মাদক ব্যবসায়ীরা। রাজধানীতে মাদক পরিবহনে এবার রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ রাইডারদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। যারা রাইড শেয়ারিংয়ের আড়ালে নিদির্ষ্ট গন্তব্যে মাদক পেঁৗছে দিচ্ছেন।

শনিবার দিনগত রাতে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ‘পাঠাও’ রাইডার রানা আহমেদ ওরফে রাজুসহ (২৫) চার ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৩।

আটক অন্যরা হলেনÑ ইফতেখারুল ইসলাম (২৫), অলি আহমেদ (২৪) ও মোস্তফা কামাল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা, ৮টি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কনের্ল এমরানুল হাসান।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় রাজধানীতে মাদক ব্যবসায়ী ও বাহকদের চলাচল সীমিত হয়েছে। কিছু মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান এনে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে মজুদ করেছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের সিও এমরানুল জানান, ইফতেখারুল কক্সবাজারের উখিয়া কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বষের্র ছাত্র। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত উখিয়ার স্থানীয় কিছু যুবকের বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখে ইয়াবা ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হয় ইফতেখারুল। কারণ, তার ধারণা ইয়াবা ব্যবসায় দ্রæত লাভবান ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায়।

ইফতেখারুল নিজে মাদক ব্যবসায় জড়ানোর পাশাপাশি কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় ?যুবক ও রোহিঙ্গাদের ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজার থেকে বহন করে আনা ইয়াবা উত্তরার মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার কাজ নিয়ন্ত্রণ করত ইফতেখারুল।

অন্যদিকে আটক অলির বাড়িও কক্সবাজারের উখিয়া থানার রাজাপালং গ্রামে। তিনি উত্তরার ফজিলত প্রোপাটির্জ নামে একটি নিমার্ণাধীণ প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গাডের্র দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অলির নিয়ন্ত্রিত ওই ভবনে কক্সবাজার থেকে আনা ইয়াবা মজুদ রাখা হতো।

মোস্তফা কামাল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা শরীফ ফামাির্সউটিক্যালের মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে কমর্রত। মোটা অঙ্কের টাকার লোভে ওষুধ বিপণন ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি ইয়াবা পরিবহনের কাজেও যুক্ত হয়ে পড়েন। কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় পেঁৗছে দিতে পারলে তিনি পেতেন ২০ হাজার টাকা।

রানা মূলত রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ‘পাঠাও’র একজন রাইডার। তিনি রাইড শেয়ারের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী কাক্সিক্ষত গন্তব্যে ইয়াবা পেঁৗছে দিতেন।

লে. কনের্ল এমরানুল জানান, কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর যোগসাজশের তথ্য তারা পেয়েছেন। তাদের নামও জেনেছেন। তদন্তসাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে