বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
যাত্রীকল্যাণ সমিতি

ঈদযাত্রা নিরাপদে ২০ দফা প্রস্তাব

সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার, উল্টো পথের গাড়ি চলাচল বন্ধ ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করতে হবে।
যাযাদি রিপোর্ট
  ২১ মে ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২১ মে ২০১৯, ০০:০৬
শ্যামলী পরিবহনের একটি দূরপালস্নার বাস -ফাইল ছবি

ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নছিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। সংগঠনটি বলেছে, প্রতিবছর ঈদ আনন্দ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এ থেকে উত্তরণের জন্য এবং সড়ককে নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘ গতি ও দ্রম্নতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালুর দাবি জানান তিনি। এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগিয়ে রেশনিং পদ্ধতিতে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা গেলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করা সক্ষম হবে মনে করে সংগঠনটি। এ জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০ দফা প্রস্তাব অনুসরণের সুপারিশ করা হয়। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নছিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা। মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করার কথাও বলেছে তারা। পোশাকশিল্প ও অন্যান্য শিল্পকারখানায় রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। টোল পস্নাজার সব কটি বুথ চালু করা ও দ্রম্নত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার উচ্ছেদ করার পরামর্শ রয়েছে। মহাসড়ক অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত করা এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করার দাবি করেছে সংগঠনটি। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টো পথের গাড়ি চলাচল বন্ধ করার পাশাপাশি অযান্ত্রিক যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করার দাবি রয়েছে এর মধ্যে। ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালক ঈদযাত্রায় নিষিদ্ধ করা এবং বিরতিহীন ও বিশ্রামহীনভাবে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ করার কথা বলেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুটপাত, জেব্রাক্রসিং, পদচারী-সেতু, আন্ডারপাস, ওভারপাস দখলমুক্ত করে যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের ব্যবস্থা রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রম্নত মেরামতের ব্যবস্থা করা এবং ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনগুলোয় দ্রম্নত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এর বাইরে যাত্রা বিরতিকালে খাবার হোটেলে যাত্রীসাধারণ যাতে মানসম্পন্ন সাশ্রয়ী মূল্যে সাহরি ও ইফতারি গ্রহণ করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা, দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রম্নত উদ্ধার, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা, অপ্রত্যাশিত যানজটের কবলে আটকে পড়া যাত্রীদের টয়লেট ব্যবহারের সুবিধা রাখা, ইফতারির সুবিধার্থে পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখার কথাও উঠে এসেছে প্রস্তাবে। এ ছাড়া রয়েছে জাতীয় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন, মিডিয়ান গ্যাপ ও বাঁকে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা রাখা এবং সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ঈদের ছুটি বাতিল করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে