যাযাদি রিপোর্ট রাজধানীর মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি করপোরেশনের নেয়া কার্যক্রমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মহানগরীতে দ্রম্নত মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ রোধে উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সকাল-বিকাল পানি ছিটানোর সঠিক তথ্য প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা না করায় গত ৫ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সিইও মোস্তাফিজুর রহমান ও উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সিইও আবদুল হাইকে বুধবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশমতো বুধবার তারা আদালতে উপস্থিত হলে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় আদালত আরও বলেন, এটা আমার আপনার সবার দেশ। ২০ তলা ভবনেও মশা আছে। সামনে বর্ষাকাল আসছে, চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। আপনারা মশা নিধনে যথাযথ পদক্ষেপ নিন। আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুলস্না আল মাহমুদ বাশার। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুলস্না আল মাহমুদ বাশার জানান, ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সকাল-বিকাল রাস্তায় সঠিকভাবে পানি ছিটানো হচ্ছে কি না তার ব্যাখ্যা দিতে নির্ধারিত সময় বুধবার সকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনের সিইও আবদুল হাই ও মোস্তাফিজুর রহমান হাইকোর্টে উপস্থিত হন। এ সময় আদালত তাদের রাজধানীর ধুলা নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে আরও এক মাস সময় দিয়ে এ বিষয়ে আগামী ২৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, সিটি করপোরেশনের কাজের বিষয়ে দুই সিইওকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে আদালত বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়, নিষ্কাশনে সুব্যবস্থা নেই। ধুলা, পানি নিষ্কাশন ও মশা নিধনের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, রাজধানীতে অনেক মশা। ঠিকমতো ওষুধ ছিটানো হয় না। যদিও ওষুধ ছিটায় তা দুই নম্বর। মশার কারণে নগরীর শিক্ষার্থীসহ অনেকের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অ্যাম্বাসাডররা থাকেন, বিদেশি ক্রেতারা থাকেন। তাদের যাতে মশার কারণে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ডিএনসিসির সিইওকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, আপনাদের দিকে অনেক দেশের অ্যাম্বাসাডর বসবাস করেন। আগের মেয়র আনিসুল হক অনেকগুলো ভালো কাজ করেছিলেন। আশা করি বর্তমান মেয়রও ওই সব কাজ বজায় রাখবেন।