শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২১ ফেব্রম্নয়ারিতে চার স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৭
শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন -যাযাদি

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ২১ ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। ওইদিন শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মঙ্গলবার শহীদ মিনারের সামনে ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে আছাদুজ্জামান মিয়া শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বেশ কিছু সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হবে। চানখাঁরপুল, বকশীবাজার, নীলক্ষেত, পলাশী, শাহবাগ, হাইকোর্ট ক্রসিং, রোমানা চত্বর এলাকা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি ঢুকতে পারবে না। এসব এলাকায় তলস্নাশিচৌকি বসানো হবে। মঙ্গলবার রাত থেকে এসব এলাকায় আলপনা আঁকা হবে। তাই যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য আর ১০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ডিএমপি কমিশনার জানান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দোয়েল চত্বর দিয়ে চলে যাবেন। তারা না যাওয়া পর্যন্ত দোয়েল চত্বর, রোমানা চত্বর দিয়ে কাউকে শহীদ মিনারের দিকে না যেতে অনুরোধ করেন তিনি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২১ ফেব্রম্নয়ারিকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শহীদ মিনারের নিরাপত্তা : ডিএমপি থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শহীদ মিনারে যাওয়ার প্রতিটি প্রবেশ ফটকে পর্যাপ্ত আর্চওয়ে বসানো হবে। হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দর্শনার্থীদের দেহ তলস্নাশি ও হ্যান্ডব্যাগ পরীক্ষা করা হবে। নারীদের দেহ তলস্নাশির ক্ষেত্রে প্রতিটি ফটকে পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বোমা নিষ্ক্রিয় করার দল এবং ডগ স্কোয়াড থাকবে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ আশপাশের এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদু্যৎ সরবরাহ করা হবে। শহীদ মিনার এলাকায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ও নারীদের জন্য অতিরিক্ত ২টি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ওয়াসা কমপক্ষে ১০টি জায়গায় বিশুদ্ধ খাবারের পানির ব্যবস্থা করবে। প্রস্তুত থাকবে মেডিকেল টিম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে