আজকের যায়যায়দিন

বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো শ্রমিকবান্ধব হতে হবে এবং সেগুলো ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখার পরামশর্ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

শনিবার জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ইউসিবি পাবলিক পালাের্মন্ট শিরোনামে এক ছায়া সংসদে বিতকর্ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এই নিদের্শনা দেন।

এমএ মান্নান বলেন, ‘আমি জানি, বিদেশে আমার শ্রমিকরা খুব সহজে দূতাবাসের সহায়তা পান না। এটা বন্ধ হতে হবে। আমি বলছি, দূতাবাসগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। শ্রমিকবান্ধব কমর্কতাের্দর দূতাবাসে নিয়োগ দিতে হবে। শ্রমবাজার ও রপ্তানি উন্নয়নে প্রধান ভ‚মিকাও পালন করতে হবে দূতাবাসগুলোকে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সৌদি আরবে আমার নারী কমীর্রা নিযার্তনের শিকার হচ্ছেন। এটা খুবই অমানবিক, এই বিষয়ে শুনলেও চরম খারাপ লাগে। তাই সৌদি আরবে নারী কমীর্ পাঠানোর বিষয়ে আরও ভাববার সময় এসেছে। তবে আমাদের বৈদেশিক শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। পৃথিবীর একটাই দেশে আমার শ্রমিক মা-বোনদের নিযার্তন করা হয়।’

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘যমুনা নদীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে টানেল নিমাের্ণর পরিকল্পনা চলছে। আমরা দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর কাজও করব। আমরা কোথায় ছিলাম, এখন বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতের ছেঁায়ায় কোথায় এসেছি ভাবতে অবাক লাগে। ২০ বছর আগে কল্পনাও করতে পারিনি, আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণ করতে পারব। অথচ এক সময়ের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তাই সবাইকে বলব আসুন আওয়ামী লীগ সরকারের মানবিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধশিল্প ইত্যাদি খাতের মতো বড় কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই অভিবাসন খাত থেকে প্রতিবছর ১৩-১৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক আয় হচ্ছে। যা জিডিপিতে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ অবদান রাখছে। ২০১৭ সালে প্রায় সোয়া ১০ লাখ কমীর্ বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮ সালে সাত লাখ কমীর্ বিদেশে গেছে। চলতি বছরে ১২ লাখ কমীর্ বিদেশে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

বৈদেশিক কমর্সংস্থান বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারে শীষর্ক ছায়া সংসদ বিতকর্ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনিভাসিির্ট অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইস্টানর্ ইউনিভাসিির্ট অংশগ্রহণ করে।