বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভুয়া’ ভোটের জবাব দিতে পারবে না বলে সংলাপে বসতে চাইছে না ক্ষমতাসীনরা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের প্রস্তাব আওয়ামী লীগের নাকচ করার প্রতিক্রিয়ায় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
৩০ ডিসেম্বর ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে দাবি করে পুননির্র্বার্চনের দাবিতে সংলাপ ডাকতে সরকারকে আহŸান করছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
তা নাকচ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা বিশ্বের ‘স্বীকৃতি’ পাওয়া নিবার্চনের পর পুনঃভোটের দাবি হাস্যকর।
রিজভী বলেন, ‘এত বড় ভুয়া ভোটের নিবার্চনের পরেও আত্মমযার্দাহীন আওয়ামী নেতারা নিবার্চন নিয়ে নিলর্জ্জ গলাবাজি করছেন। ভোটের আগের রাতে যেখানে ৩০-৫০ শতাংশ ভোট দেয়া হয়েছে, তাকে কি ভোট বলে? মহাভোট ডাকাতির যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এখন সবার কাছে আছে।
‘প্রচÐ হুমকির মুখেও দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভোট ডাকাতির তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরছে। কেউই এই নিবার্চন মেনে নেয়নি। সুতরাং ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কোনো সদুত্তর দিতে পারবেন না বলেই সংলাপে রাজি নয়। মহাডাকাতির ভোটের জবাব তাদের কাছে নেই।’
রিজভী আবারও বলেন, প্রশাসন ও ?পুলিশকে ব্যবহার করে এই নিবার্চনে ‘ভোট ডাকাতি’ করেছে আওয়ামী লীগ।
‘যে দল ভোটে বিজয়ী হয়, সাধারণত তাদের কমীর্রাই উৎসব, ভোজ ইত্যাদিতে মেতে থাকে। আওয়ামী লীগ তো ভোটে বিজয়ী হয়নি, সে জন্য তাদের নেতাকমীর্রা উৎসব করেনি। উৎসব করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ-র্যাব-বিজিবি।’
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই দাবি করে তার পক্ষে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) সবের্শষ প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এই রিপোটের্র পর সরকারের কিছু আজ্ঞাবাহী বুদ্ধিজীবী অবান্তর কথাবাতার্ বলেছেন। তারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধাপে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থান তলানির নিচে নিমজ্জিত।’
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, ভোটের পর সারাদেশে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকমীের্দর বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ হচ্ছে।
‘সারাদেশে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের মানুষরা সরকারি সন্ত্রাসে আক্রান্ত। মনে হচ্ছে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়।’
নয়াপল্টনে এই সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, আবদুল আউয়াল খান, বিলকিস ইসলাম শিরিন।