মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে নকল ওষুধে সয়লাব ঢিলেঢালা নজরদারি

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

চট্টগ্রাম নগর থেকে গ্রাম পযর্ন্ত সবর্ত্রই বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। প্রকাশ্যে এ ধরনের ওষুধ বিক্রি চললেও কাযর্কর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অভিযান চালিয়ে জরিমানা পযর্ন্ত করে থেমে যাচ্ছে প্রশাসন। ফলে এ অপকমের্র মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছেঁায়ার বাইরে।

এদিকে চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও কয়েকমাস যাবত সেটিও বন্ধ রয়েছে।

এ সুযোগে নকল ওষুধের বাজার বিস্তৃত হচ্ছে। ক্রেতারা নকল ওষুধের ভিড়ে আসল ওষুধ পাথর্ক্য করতে পারছেন না। এতে করে বেকায়দায় পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, নকল ওষুধগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, আসল না নকল বোঝার সাধ্য থাকে না।

নগরের অক্সিজেন এলাকার বাসিন্দা ছকিনা বেগম দীঘির্দন ধরে হৃদরোগে ভুগছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগের বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপকের তত্ত¡াবধানে তিনি চিকিৎসা নেন।

চলতি মাসের শুরুতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে নতুন একটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। তার ছেলে সাইফুদ্দীন মেডিকেলের মেইন গেট এলাকা থেকে ওষুধটি কেনেন। কিন্তু সেবনের পর রোগ না সেরে উল্টো পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, ওষুধটি ভেজাল ছিল।

সাইফুদ্দীন বলেন, সেবনের পর পাশ্বর্প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করি। তিনি ওষুধটি নকল ছিল বলে জানান। পরে অন্য একটি ফামেির্স থেকে ওষুধটি কিনি।

‘বাজার থেকে এ ধরনের ওষুধ জব্দ করা হোক। এ ছাড়া যারা এ অপকমের্র হোতা তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক’, দাবি জানান সাইফুদ্দীন।

খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, সবের্শষ গত ৪ ডিসেম্বর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সাজর্ন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর এসব তদারকি করে।’

‘ভেজাল ওষুধ বিক্রি জনস্বাস্থ্য বিরোধী কাজ। এসব ওষুধ সেবনে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। তাই এ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।’

চট্টগ্রাম ওষুধ প্রশাসনের ওষুধ তত্ত¡াবধায়ক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘নিবার্চনকালীন সময়ে তদারকি বন্ধ ছিল।’

‘জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। নিবার্চনের সময় তারা ব্যস্ত ছিল। এ জন্য তদারকি বন্ধ ছিল। তবে তদারকি কাযর্ক্রম আবারও শুরু হয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<31661 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1