আজকের যায়যায়দিন

স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তিকে রুখতে ধমর্-বণর্ নিবিের্শষে সকলকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার শারদীয় দুগোর্ৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘অসুর শক্তির পরাস্তের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠাই দুগার্পূজার মমর্বাণী। অশুভ অসুর শক্তি আজও বিরাজমান। কালের বিবতের্ন এর রূপ হচ্ছে ভিন্ন থেকে ভিন্নতর।’

জাতির জনকের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ায় বিভিন্ন সময় বাধা আসার কথা তুলে ধরে আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বার বার বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে।

দেশ আজ উন্নতি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে সকল অশুভ তৎপরতাকে ধমর্-বণর্ নিবিের্শষে সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। এবারের দুগোর্ৎসবে এটাই হোক সকলের অঙ্গীকার।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দুগার্পূজা কেবল ধমীর্য় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুগোর্ৎসব উপলক্ষে ধমর্-বণর্ নিবিের্শষে সবাই আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে। পারিবারিক ও সামাজিক এ উৎসবের মাধ্যমে গড়ে ওঠে সৌহাদ্যের্র সেতুবন্ধন। তাই এ উৎসব সাবর্জনীন।

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়ে তিনি বলেন, ধমীর্য় রীতিনীতি মেনে চলার পাশাপাশি মানবতার কল্যাণেও আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়।

শারদীয় দুগোর্ৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

হিন্দু ধমীর্য় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সাবর্জনীন পূজা কমিটির নেতারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

অন্যদের মধ্যে ভারতের হাইকমিশনার হষর্ বধর্ন শ্রিংলা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের বঙ্গভবনের দরবার হলে আপ্যায়ন করা হয়।