প্রশ্নফঁাসে ব্যথর্ হয়ে নিজের মন মতো প্রশ্ন তৈরি করে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল একটি চক্র। শতভাগ কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসব ভুয়া প্রশ্ন সরবরাহ করে চক্রটি হাতিয়ে নিত বিপুল পরিমাণ অথর্।
বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেডিকেল ভতির্ পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্ন সরবরাহকারী ওই চক্রের পঁাচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা (নম্বর-১) দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কাওসার গাজী, সোহেল মিয়া, তারিকুল ইসলাম শোভন, রুবাইয়াত তানভির ওরফে আদিত্য ও মাসুদুর রহমান ইমন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে পঁাচটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ ও বিকাশের একটি রেজিস্টার খাতা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালীবাগে সিআইডি কাযার্লয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সিআইডির অগার্নাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম।
প্রশ্নফঁাসকারী প্রতারণাচক্রের মূলহোতা কাউসার গাজীর বরাতে তিনি জানান, বতর্মানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নজরদারির মধ্যে তারা প্রশ্নফঁাস করতে পারে না। তাই বিগত বছরের মেডিকেলের প্রশ্ন ও সাজেশনস মিলিয়ে নিজেদের মতো করে প্রশ্ন তৈরি করে। পরে ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়া আইডি ও মেসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্নফঁাসের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষাথীের্দর কাছে বিক্রি করত।
তিনি জানান, মাস্টারমাইন্ড (মূল হোতা) কাউসার গাজীকে এই কাজে সহযোগিতা করত তার বন্ধু সোহেল মিয়া। সে অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিকাশ একাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা লেনদেন করত।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি আরও বলেন, দীঘির্দন ধরে প্রশ্নফঁাসের কাজ করছে তারা। মেডিকেল ভতির্ পরীক্ষায় প্রশ্নফঁাস করতে না পারায় তারা ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে ১০টি ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মেডিকেলের প্রশ্ন পাওয়া যায় বলে প্রচারণা চালাত এবং শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে শিক্ষাথীের্দর কাছে বিক্রি করত। আসামি শোভন নামে ফেসবুকের আইডি খুলে মেডিকেল কলেজ ভতির্ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র টাকার বিনিময় দিতে পারবে বলে প্রচারণা চালায়। তার এই ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারণায় প্রলুব্ধ হয়ে অনেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করে এবং পরে বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে অগ্রিম অথর্ সংগ্রহ করে প্রতারণা করত।
এক প্রশ্নের জবাবে মোল্যা নজরুল বলেন, আটকদের পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে তারা আনুমানিক কত টাকা শিক্ষাথীের্দর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে।