শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
গাঙচিলের মহরতে কাদের

নিবার্চনী সরকারে সংসদের বাইরের কেউ থাকবে না

যাযাদি রিপোটর্
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ‘গাঙচিল’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে কেক কাটেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাশে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, চিত্রনায়ক ফেরদৌস, চিত্রনায়িকা ঋতুপণার্ ও পূণির্মাসহ অন্যরা -যাযাদি

আগামী মাস অথার্ৎ অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই নিবার্চনকালীন সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ওই সরকারের আকৃতি হবে খুব ছোট এবং সেই সরকারে সংসদের বাইরের কেউ থাকবে না।

নিজের লেখা উপন্যাস ‘গাঙচিল’ অবলম্বনে সিনেমা নিমার্ণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত ‘গাঙচিল’ ছবির মহরত অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের কোনো কথা বলেননি। এই কারণেই সংবাদ সম্মেলনের পর মন্ত্রীকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে আলাদাভাবে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির স্বভাবই হচ্ছে সরকারকে দোষারোপ করা। তারা তাদের দোষারোপ আর হুমকিতে ভীত নন। বিএনপির মহাসচিবের সাম্প্রতিক নিউইয়কর্ সফর নিয়ে তিনি বলেন, তারা দেশের মানুষের আস্থা অজর্ন করতে ব্যথর্ হয়ে দেশের বাইরে গিয়ে সরকারের বদনাম ছড়াচ্ছে। আর জাতিসংঘের আমন্ত্রণের যে ভিত্তিহীন সংবাদ বিএনপির পক্ষ থেকে ছাড়ানো হচ্ছে, সেটাও জনগণের কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে। মিজার্ ফখরুল ইসলাম সাহেব যখন নিউইয়কর্ সফরে যান তখন জাতিসংঘের মহাসচিব ঘানায় সাবেক মহাসচিব কফি আনানের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় ছিলেন। আর ওই সময়টায় ফখরুল সেখানে নিজ উদ্যোগে গিয়ে প্রচার করেছে জাতিসংঘের আমন্ত্রণে তারা সেখানে গিয়েছিলেন।

জাতীয় নিবার্চনে স্বতন্ত্র প্রাথীর্ হতে গেলে নিবার্চনী এলাকার মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নেয়ার যে রীতি এবং ওই রীতিকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলার সুরাহা না হওয়া পযর্ন্ত তফসিলে ঘোষণা না করার যে একটা রিট করা হয়েছে সে বিষয়েও মন্ত্রী অবহিত আছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিবার্চনের আগে এমন অনেক ষড়যন্ত্র হয়, এগুলোকে পাত্তা দিলে চলবে না। নিবার্চন সঠিক সময়ে হবে এবং যথাসময়ই তফসিল ঘোষণা করা হবে।

এর আগে ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রের মহরতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং সিনেমার পাত্র-পাত্রীরা। নোয়াখালী অঞ্চলের একটি দ্বীপের মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে এই উপন্যাস। যার প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করবেন ফেরদৌস, ঋতুপণার্ ও পূণির্মা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, ওবায়দুল কাদের ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি করতেন, তখন থেকেই তিনি লেখালেখিও করতেন। আর তার লেখাতে সব সময়ই বাংলাদেশের মানুষ ও সংস্কৃতি স্থান পেয়েছে। আশা করেন, তার উপন্যাস ‘গাঙচিলে’ও তাই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে চিত্রনাট্য এটা গুরুত্বপূণর্ বিষয়। এই ছবির পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল যদি সেই জায়গাটা যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন তাহলে এই ছবি বাংলাদেশের বাইরে আন্তজাির্তক মহলেও প্রশংসিত হবে।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘দুজন মন্ত্রীর বিলম্ব দেখে আমাকে বক্তৃতা দীঘাির্য়ত করতে বলা হয়েছে। আমি নিজে অভিনয়ের মানুষ। মঞ্চে কাজ করেছি, নাটকে কাজ করেছি, একবার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছি। আমি সেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম, সেখানে নায়িকা ছিলেন চম্পা। একটা নাচের দৃশ্যে চম্পার সঙ্গে আমাকে অনেক বেমানান মনে হয়েছিল। তখন থেকেই আমি চলচ্চিত্রে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘বিরোধী দল থেকে আজকাল আমাকে প্রায়ই অপমান করার জন্য অন্য পরিচয় বাদ দিয়ে ‘অভিনেত্রী’ ছিলেন বলেন উপহাস করা হয়। কিন্তু তারা জানে না, এই পরিচয়টি আমার কাছে কত মূল্যবাদ। রাজনীতিবিদ, আইনজীবীর মতোই আমার কাছে ‘অভিনেত্রী’ পরিচয়টাও সমান। আমার মনে হয়, সুস্থ রাজনীতির জন্য সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের আরও বেশি করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13362 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1