শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াত মুমিন ফের রিমান্ডে

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার মামলায় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত তরিকুল ইসলাম মুমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ঢাকার একজন মহানগর হাকিম। বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির কাছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও পাঁচদিনের রিমান্ড চান। এ সময় রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান আইনজীবী পারভেজ হাসেম ও তাজুল ইসলাম।

শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের আদেশ দেন বলে আদালতের সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকতা এসআই ফরিদ মিয়া জানান। এর আগে মুমিনকে চারদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এদিকে মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। সর্বশেষ সোমবার ফরহাদ ও নাজিম উদ্দিন মহানগর হাকিমের কাছে জবানবন্দি দেন। এই মামলায় এর আগে স্বীকারোক্তি দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা।

ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মুমিনসহ তিনজনকে গত শুক্রবার তেজগাঁও থানায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। জালিয়াতির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত ৫ মে তরিকুল, ফাতেমা ও ফরহাদের নামে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তরিকুলকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়েছিল।

এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতিপর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপরই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা।

মামলায় বলা হয়, ''এরপর সেই নথিতে তরিকুল ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া টিক চিহ্নটি 'টেম্পারিং' করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন। একইভাবে অধ্যাপক মো. আবদুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। প্রায় এক মাস আগে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়।"

এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পরে আরেক দফায় ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেন বলে মামলায় বলা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<99457 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1