শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় ই-কমার্স খাতে প্রতি মাসে ক্ষতি ৬৬৬ কোটি টাকা

বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকা। এ সেক্টরে কাজ করছেন প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মী
যাযাদি রিপোর্ট
  ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় দেড় মাস ধরে দেশে লকডাউন অবস্থা বিরাজ করেছে। তাই ই-কমার্স খাতের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। ফলে করোনার প্রভাবে এ খাতে প্রতি মাসে ক্ষতির পরিমাণ ৬৬৬ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।

করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত সাধারণ ছুটিকালীন জনসাধারণকে সহযোগিতা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের ই-কমার্স সংক্রান্ত গৃহীত পদক্ষেপ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাব এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক অনু করোনাভাইরাসের প্রভাবে ই-কমার্স খাতের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, বর্তমানে ই-ক্যাবের মেম্বার সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ জন। বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার ৮ হাজার কোটি টাকা। এ সেক্টরে কাজ করছে ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মী। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ হচ্ছে নারী এবং ৭৪ শতাংশ হচ্ছে পুরুষ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে ই-কমার্সের অবদান দশমিক দুই শতাংশ। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৮০ হাজার পরিবার ই-কমার্সের থেকে সেবা নিয়ে থাকেন। করোনাভাইরাসের কারণে মোট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এসব প্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিত্যপণ্য এবং ওষুধ সরবরাহ করেছে। করোনার কারণে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় ই-কমার্স খাতে প্রতি মাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬৬৬ কোটি টাকা।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, আমাদের ই-কমার্স খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। তবে করোনাকালে প্রায় ৯০ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। যারা সীমিত আকারে কাজ করেছে তারাও সে অর্থে ব্যবসা করেনি, যেটুকু পেরেছে মানবসেবা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন ই-কমার্স খাতে আলাদা খাত ঘোষণা করার সময় এসেছে। কারণ আমরা ব্যাংক ঋণ নিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে। আমরা সবাই কিন্তু মিডিয়াম-স্মল এন্টারপ্রিনিয়ার তাই আমাদের জন্য করপোরেট ট্যাক্স মওকুফ করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা যদি প্রণোদনা নাও পাই তারপরও আগামী কয়েক বছরের জন্য করপোরেট ট্যাক্স মওকুফ চাই। করোনার সময়ে আমরা ২ শতাংশ সুদে ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ব্যাংক ঋণ চাই।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে মানুষকে ঘরে রাখার কোনো বিকল্প নেই। মানুষকে ঘরে রাখা সম্ভব হয়েছে ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দিয়ে। এজন্য ই-কমার্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। তবে ই-কমার্স কার্যক্রম চালাতে বেশ কিছু সমস্যার কথা শুনলাম। এসব সমস্যা সমাধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে। আগেও আমরা ই-কমার্সকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছি, আগামীতে সেটা অব্যাহত থাকবে।

ই-কমার্স সংশ্লিষ্টদের সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করারও আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। এর মাধ্যমে কোনো মানুষ যেন প্রতারণার শিকার না হয় ষে বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব উপদেষ্টা ও সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, এফবিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<99452 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1