শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের

প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিশ্রম্নতি মানছেন না গার্মেন্ট মালিকরা

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথা। কিন্তু কেন চাকরি হারানোর ভয়ে প্রতিদিন ঢাকার বাইরে থেকে অসংখ্য শ্রমিক ঢাকায় আসছেন?
যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ মে ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০২ মে ২০২০, ১০:৪৫
সীমিত আকারে দেশের পোশাক শিল্পকারখানা চালু হয়েছে। কর্মস্থলে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা গেলেও বাহির ও প্রবেশ পথে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউ। ছবিটি বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের বিসিক নগরী থেকে তোলা -স্টার মেইল

গার্মেন্ট মালিকরা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিশ্রম্নতি মানছেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথা। কিন্তু কেন চাকরি হারানোর ভয়ে প্রতিদিন ঢাকার বাইরে থেকে অসংখ্য শ্রমিক ঢাকায় আসছেন? এ বিষয়ে গার্মেন্ট মালিকদের সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এ বিষয়ে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রম্নতি বাস্তবায়নের অনুরোধ করছি। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অসহায় গরিব মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে ওবায়দুল কাদের তার বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, 'করোনা সংকটে তৈরি পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো সীমিত আকারে চালুর অনুমতি দিয়েছেন। এসব ফ্যাক্টরিতে ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে। মালিকরাও তা মেনে নিয়েছে। অথচ প্রতিদিন ঢাকার বাইরে থেকে অসংখ্য শ্রমিক ঢাকায় প্রবেশ করছেন চাকরি হারানোর ভয়ে। তিনি বলেন, 'গার্মেন্ট মালিকরা বলছেন, তারা ঢাকায় অবস্থানকারী শ্রমিকদের কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই শ্রমিকরাই বলছেন, তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে ঢাকায় আসছেন। তাদের আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমি জানি না, এ বিষয়ে গার্মেন্ট মালিকরা কি চিন্তা করছেন।' ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছি। আজ আমরা ভয়াবহ এক মহামারির সংকটে পতিত হয়েছি। এই সংকটও আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করব।' ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রাখতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে আমি কথা বলেছি। আপনাদের কর্মকান্ডের প্রশংসা করেছেন। আপনারা ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু যাদের কোনো ঘর নেই, যারা রেল স্টেশনে, টার্মিনাল, ফ্লাইওভার ও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে, অসংখ্য \হশিশুসহ অনেক মানুষ গৃহহীন- তাদের কাছেও খাবার পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ভাসমান মানুষগুলোর তালিকা প্রণয়ন করার জন্য। পাশাপাশি ওইসব ভাসমান মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপরে ত্রাণ উপ-কমিটি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করতে পারেন।' তিনি বলেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যার অঙ্গীকার গৃহহীনকে গৃহ দেওয়া। এজন্য দলীয় নেতাদের প্রয়োজনীয় তালিকা প্রণয়নে সহায়তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা বলছি ঘরে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি নিজেও ঘরে রয়েছি। কিন্তু যাদের ঘর নেই তারা থাকবে কোথায়? এদের ব্যাপারে আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।' এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য একেএম রহমতুলস্নাহ, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে