শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকমুখী গ্রাহক

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিনগুলোয় সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চালু থাকায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে লেনদেন করছেন গ্রাহকরা -যাযাদি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় সীমিত আকারেও খোলা রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক। তবে একান্তই জরুরি ছাড়া কেউ-ই আসছেন না। যারাও আসছেন তাদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখেই লেনদেন সম্পন্ন করে দ্রম্নত ব্যাংক ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

রোববার রাজধানীর ব্যাংকপাড়াখ্যাত মতিঝিল, অভিজাত এলাকা গুলশান ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কয়েকটি ব্যাংকের শাখা ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।

মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় গিয়ে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন গ্রাহক কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানেও রয়েছে দূরত্ব! সবারই নিজ নিজ সাধ্য অনুযায়ী রয়েছে সুরক্ষা সামগ্রী। কারও মুখে মাস্ক, অনেকের হাতে গস্নাভস।

সেখানে কথা হয় রবিউল ইসলাম নামে এক গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ এখন অনেক সচেতন। টাকার জরুরি প্রয়োজন না হলে কেউ ব্যাংকে আসছেন না। আমি টাকা তুলে বাজার করব, তাই এসেছি। তা না হলে আমিও আসতাম না। একই চিত্র দেখা গেছে, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও ব্যাংক এশিয়ায়ও।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল বলেন, এ অবস্থায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত লেনদেন করা হচ্ছে। গ্রাহকের উপস্থিতিও যে খুব কম তা নয়। মূলত এ সময়ে জরুরি প্রয়োজনেই ব্যাংকে সেবা নিতে আসছেন গ্রাহকরা। আমরা চেষ্টা করেছি, সাধ্যের মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকারি ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেসরকারি ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্রাহকের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি। জরুরি প্রয়োজনে খোলা রাখা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই টাকা জমা দিতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে আসছেন। আবার দু-একজন এসেছেন রেমিটেন্সের টাকা তুলতে।

ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা শাখার গ্রাহক আবুল কালাম বলেন, জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকে এসেছিলাম। কিন্তু আমি সেবা পাইনি। কারণ এ অবস্থায় চেক ক্লিয়ারিং সেবা বন্ধ রয়েছে। আমার কাছে থাকা অন্য ব্যাংকের চেকটি ৪ এপ্রিলের আগে জমা হবে না বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

ব্যাংক এশিয়ার বসুন্ধরা শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকের উপস্থিতি ভালোই। নিত্যপ্রয়োজনে যাদের টাকা দরকার তারাই টাকা তুলতে এসেছেন।

'তবে ক্লিয়ারিং হাউস না থাকাতে কিছু কিছু গ্রাহকের সমস্যা হচ্ছে। অনেকের কাছে অন্য ব্যাংকের চেক আছে তারা টাকা তুলতে পারছেন না'- যোগ করেন তিনি।

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকার ২৬ মার্চের সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ২৭ ও ২৮ সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এসব ছুটির সঙ্গে ৩ ও ৪ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে।

সাধারণ ছুটির সময় 'কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল এবং জরুরি সেবার পাশাপাশি ব্যাংকিং সেবার সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। সাধারণ ছুটির এ সময়ে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুরে দেড়টা পর্যন্ত। লেনদেন করা যাবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত।

এছাড়া ব্যাংকগুলোর অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম), ক্যাশ ডিপোজিট মেশিন (সিডিএম), ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম) চালু রাখা হয়েছে। এটিএম থেকে তোলা যাচ্ছে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দিনে এক হাজার টাকা ক্যাশআউট ফ্রি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে লেনদেন সীমাও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<94854 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1