আজকের যায়যায়দিন

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের ঈদে দুঘর্টনার হার কম। তবে, সে তুলনায় মৃত্যুর হার বেশি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির রিপোটর্ পাওয়ার পর বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রোববার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে স্ট্রিট লাইটের উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় নিবার্চন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিবার্চনকালীন সরকারে বিএনপির প্রতিনিধিত্বের এখন আর কোনো সুযোগ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নাটোরের দুঘর্টনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, নিদের্শ দিয়েছি। এবার ঈদে দুঘর্টনার হার কম। কিন্তু সে তুলনায়

বাজার দর / কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম মাছের বাজার চড়া

মৃত্যুর হার বেশি। তিনটি মারাত্মক দুঘর্টনা ঘটেছে। একটা ফেনীতে, নরসিংদীতে আর নাটোরে। এ তিনটি দুঘর্টনা হয়েছে লেগুনা ও অটোরিকশার। এখানে আমরা ১০ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিকে তদন্ত করতে দিয়েছি। আমার মনে হয়, হাইওয়েতে ছোট যানবাহনগুলো ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও লেগুনা। এগুলো মানুষের জীবনের ওপর কতটা বড় আঘাতের শামিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, দুটো গাড়ির রেষারেষিতে দুঘর্টনা ঘটে না। এ ছোট ছোট যানগুলো এবং মোটরসাইকেলে একটু ধাক্কা লাগলেই আরোহী সবাই মারা যায়। এই কারণে মৃত্যুর হারও বেশি। আমরা এই ছোট ছোট যানগুলো ২২ সড়কে নিষিদ্ধ করেছি। কিন্তু ঈদের সময় তারা বাড়তি সুবিধা নেয়। ফেনীর দুঘর্টনার সময়ে আমি এক মিনিট দূরে ছিলাম। সেখানে একটি গাড়ি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়েছে, সবাই মারা গেছে। এ দুঘর্টনাগুলো ইদানীংকালে বেড়ে গেছে, এর উপদ্রব বেড়ে গেছে। আর এসবের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা ১০ দিনের মধ্যে রিপোটর্ দেবে। আর রিপোটর্ হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।’

নিবার্চনকালীন সরকারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারই থাকবে। তবে সাইজ একটু ছোট হবে। যেহেতু জাতীয় পাটির্ সংসদে আছে, তাদের ডাকা হবে। আর বিএনপি গতবার পালাের্মন্টে ছিল, তাই তাদের ডাকা হয়েছিল। সেই সময়ে তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও অফার দিয়েছিলাম। তারা সেটি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন যেহেতু তাদের প্রতিনিধিত্ব নেই, তাদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন নেই।’