মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের বোরতলা এলাকায় ডাকাত ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি সংঘটিত হয়েছে। এতে বুলু মিয়া নামের এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এ সময় মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুই ডাকাতকে আটক, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, মালামাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি চালিত ২টি অটোরিকশা উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল সদর উপজেলার পার্শ্ববর্তী নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের আব্দুল খালিকের বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়।
খবর পেয়ে ওই এলাকায় মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) পরিমল হোসেনের নেতৃত্বে দুটি টিম অভিযান চালায়। ডাকাতরা বাড়ির মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার সময় কাগাবালা ইউনিয়নের বোরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অতিক্রম করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ ডাকাতদলের ওই অটোরিকশার গতিরোধ করলে গাড়িতে বসে থাকা ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ পালটা গুলি করলে ঘটনাস্থলেই ডাকাত সর্দার বুলু মারা যায়। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানায় বলে জানায় পুলিশ।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকেই দুই ডাকাতকে পুলিশ আটক করে এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো- সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার অঙ্গুগুরা গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে লাল মিয়া এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আতানগিরি গ্রামের হায়দর মিয়ার ছেলে আফজাল মিয়া। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি সিএনজি, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, নগদ টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে। এদিকে গোলাগুলিতে নিহত ডাকাত বুলুর লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন, এসআই কোরবান আলী, কনস্টেবল নিলয়, সুরঞ্জিত দাস ও নিরুপম পাল। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) শনিবার যায়াযায়দিনকে বলেন, পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলিতে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে। আটক হয়েছে আরও ২ ডাকাত।