শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর

ফয়সাল খান ও আবুল হোসেন, গাজীপুর থেকে
  ২৭ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৭ জুন ২০১৮, ০০:৫১
নিজের ভোট প্রদানের পর ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চনে নিশ্চিতভাবে বিজয়ী হতে চলেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রাথীর্ জাহাঙ্গীর আলম। নিবার্চনে মোট ৪২৫টি (৯টি স্থগিত) কেন্দ্রের মধ্যে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা পযর্ন্ত ঘোষিত ২৫০টি কেন্দ্রের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির মেয়র প্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৪৯২ ভোট । এর আগে ভোট জালিয়াতি ও ব্যালট ছিনতাইসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অনিয়মের ঘটনার মধ্য দিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নিবার্চন হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পযর্ন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন অনিয়মের কারণে নয়টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন রিটানির্ং অফিসার। দিনের শুরুতে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীঘর্ লাইন দেখা যায়। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নগরীর কাসেমপুরে পাঁচ নম্বর ওয়াডের্র বাগবাড়ী হাক্কানিয়া ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসায় দুই কাউন্সিলর প্রাথীর্র সমথের্কর মধ্যে দফায় দফায় সংঘষের্ পাঁচজন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। এ ছাড়া ব্যালট পেপার সংকটের কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় বলেও দাবি করেছে ইসি। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ মো. জাহাঙ্গীর আলম। ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছে দাবি করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে যে রায় দেবেন, সেই রায় আমি মেনে নিতে প্রস্তুত। জয়কে জয় আর পরাজয়কে পরাজয় মেনে নিতে আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি।’ এদিকে ভোট চলাকালে মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সিটি নিবার্চন বন্ধের দাবি জানান বিএনপির মেয়রপ্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি বলেন, প্রায় ১০০ কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। আমি নিবার্চন কমিশনের (ইসি) কাছে ভোট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। ইসির পদত্যাগ দাবি করে তিনি বলেন, যদি তারা ভোটগ্রহণ বন্ধ না করে, তাহলে আমি শেষ পযর্ন্ত নিবার্চনে লড়ে যাব।’ সরেজমিন ঘুরে নগরীর বেশিরভাগ এলাকাতেই বিএনপি প্রাথীর্র পক্ষে কোনো নেতাকমীর্ দেখা যায়নি। কেন্দ্রগুলোতে তাদের পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিও ছিল একেবারেই নগণ্য। দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, সকালে সবার সঙ্গে বিএনপি দলীয় প্রাথীর্র এজেন্টরাও কেন্দ্রে আসলেও পরে তারা বিভিন্ন অজুহাতে সরে পড়েন। তবে বিএনপির অভিযোগ তাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আর যারা ঢুকেছে তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে কোনাবাড়ীর এম ই এইচ আরিফ কলেজ থেকে মলিন মুখে বের হতে দেখা যায় একজনকে। কথা বলে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম নামে ওই গামের্ন্ট কমীর্ ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু ভেতরে গেলে তাকে বলা হয় ‘আপনার ভোট দেওয়া হয়েগেছে চলে যান।’ পরে সাংবাদিকরা ভোটকক্ষে গেলে সেখানে থাকা পোলিং এজেন্টরা একই কথা বলেন। তবে ছবি যুক্ত ভোটার তালিকা থাকার পরও এমন কেন হলো জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থাকেন। এদিকে হাসান উদ্দিন সরকারের মিডিয়া সেল থেকে দাবি করা হয়েছে অন্তত ৩৫০ কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে কেন্দ্র দখল করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকমীর্রা। এসময় অনেককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর সদস্যরা। এ বিষয়ে ধানের শীষের প্রাথীর্ হাসান উদ্দিন সরকারের প্রধান নিবার্চনী এজেন্ট মো. সোহরাব উদ্দিন রিটানির্ং অফিসারের কাযার্লয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বিকাল ৩টা পযর্ন্ত প্রায় সাড়ে তিনশত কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন জোরপূবর্ক নৌকায় সিল মেরেছে। অভিযোগে তিনি জানান, কাউলতিয়া ২১নং ওয়াডর্ জহিরউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপি এর কোন এজেন্ট ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। ৩১নং ওয়াডর্ ধীরাশ্রম রাতে প্রধান এজেন্ট এবং বিএনপি নেতা এড. মানিককে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে বিকল্প এজেন্ট সেলিম রেজা দায়িত্ব পালন করতে গেলে সাব-ইন্সপেক্টর ফিরোজ ও ডিবি পুলিশ তাকেও ধরে নিয়ে যায়। ১১নং ওয়াডর্ খোলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র : ডিবি পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে বিএনপির সিরাজুল ইসলামসহ সকল এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এ ছাড়া ৭ নং ওয়াডর্ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্র, ৩০নং ওয়াডর্ বালুচাকুলি কেন্দ্র, ৩০নং ওয়াডর্ নীলের পাড়া কেন্দ্র, ৩০নং ওয়াডর্ কানাইয়া কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেন্টদের কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কলমেশ^র প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্র বিএনপির ৭ জন এজেন্ট এর কাছ থেকে এজেন্ট কাডর্ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ৫নং ওয়াডর্ বাগবাড়ী কেন্দ্রে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের লোকজন হুমকি ধামকি দিয়ে বিএনপি সমথির্ত ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। ৪নং ওয়াডর্ সারদাগঞ্জ কেন্দ্রে পুলিশ বিএনপি এজেন্টদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া ২নং ওয়াডর্ লতিফপুর কেন্দ্র-এজেন্ট বের করে দিয়ে নুরুল হক মেম্বারের নেতৃত্বে সকাল থেকে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। জরুন ইসমাইল পাঠান একাডেমি কেন্দ্রের সকল এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। ৮নং ওয়াডর্ পারিজাত কেন্দ্র ছাত্রদল নেতা হিমেলকে প্রচÐ মারধর করে ২২ জন এজেন্টকে জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। হিমেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কাশিমপুর ৬নং ওয়াডর্ পাইন শাইল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। লোহাকুর মাজার কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। মেঘডুবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আওয়ামী লীগের শিরিশ চেয়ারম্যানসহ সন্ত্রাসীরা এজেন্টদের বের করে দেয়ার জন্য বলপ্রয়োগ করেছে। ৩৫নং ওয়াডর্ বায়তুস সালাম কেন্দ্র, ২৬নং ওয়াডর্ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, ও অথেন্টিক আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্র, ভানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ওয়াডর্ ১৪ বিডিপি স্কুল কেন্দ্র, ২৮নং ওয়াডর্ লাগালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২৮নং ওয়াডর্ হারিনাল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, ৪৯নং ওয়াডর্ এরশাদ নগর কেন্দ্র, টঙ্গী নোয়াগাঁও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, কাশিমপুর বাগবাড়ী মাদ্রাসা ও সুরপাইল সর. প্রা. বিদ্যালয় কেন্দ্র, ১১নং ওয়াডর্ জয়ের টেক সরকারি প্রা. বিদ্যালয় কেন্দ্র, গাছা ৩৪নং ওয়াডর্ অনন্ত মডেল স্কুল, শরীফপুর দাখিল মাদ্রাসা, জিয়াস খান উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, সাবেক গাছা ইউনিয়নের সকল কেন্দ্র, পুলিশ দখল করে সিল মারছে। পুবাইল রহমানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মহিলা পুলিশ সিল মেরেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এসব অভিযোগের অধিকাংশের কোনো ভিত্তি নেই বলে ইসি দাবি করেছে। সহকারি রিটানির্ং কমর্কতার্ মো. তারিফুজ্জামান জানান, বিভিন্ন অনিয়ম হওয়ায় খরতৈল মনসুর আলী আদশর্ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (নং-৩৭২), খরতৈল মনসুর আলী আদশর্ বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (নং ৩৭৩), হাজী পিয়ার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (নং-৩৮১), জাহান পাবলিক দত্তপাড়া টঙ্গী কেন্দ্র (নং-৩৪২), ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র (নং-৯৮), কুনিয়া হাজহী আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ (নং-২৪৩), কুনিয়া হাজী আব্দুল লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (নং-২৪৪), মেশিন টুলস উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র-২ (নং-১৬১) এবং বিন্দান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুবাইল কেন্দ্রের (নং ২৭৪) ভোট স্থগিত করা হয়েছে। অন্য সব কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। তারিফুজ্জামান বলেন, কেন্দ্রগুলোর সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ইসির সঙ্গে পরামশর্ করে বিধি মোতাবেক ভোট গ্রহণ স্থগিত করে রিটানির্ং অফিসারের কাছে তালিকা পাঠিয়েছেন। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৩৫ জন। সন্ধ্যায় ২০ দলীয় জোট মেয়রপ্রাথীর্ বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরাকার যায়যায়দিনকে বলেন, ‘৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪শ’রও বেশি কেন্দ্রের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। সকাল ১১টার মধ্যে শতাধিক কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। বেলা ২টার সময় রেজাল্ট শীটে স্বাক্ষর রেখে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। ভোর বেলা থেকেই পুলিশ সাদা পোশাকে বিভিন্ন কেন্দ্রের পাশে ওতপেতে থেকে আমাদের এজেন্ট ও দায়িত্বশীল নেতাদের গ্রেফতার করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমাদের ২০ জন এজেন্ট ও কমীের্ক গ্রেফতার করেছে। আমরা একাধিকবার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকানোর চেষ্টা করেছি। প্রতিবারই আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় চর দখলের মত ভোট কেন্দ্র দখল হয়েছে। গাজীপুর সিটির নিবার্চন খুলনাকেও হার মানিয়েছে। আমরা জনগণকে কথা দিয়েছিলাম নিবার্চনের শেষ পযর্ন্ত থাকব। প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে সিল মারার পরও শেষ পযর্ন্ত নিবার্চনে থাকার উদ্দেশ্য হলো, এই সরকারের চরিত্রটুকু উন্মোচন করে দেয়া। নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগের চরিত্রটা ভালো করে জানলো।’ কোনো রক্তপাত ও প্রাণহানি না ঘটায় এবং ২০ দলীয় জোটের নেতাকমীর্রা কষ্ট স্বীকার করায় তিনি দলীয় নেতাকমীর্ ও সমথর্কদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের আন্দোলন চলবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাহির থেকে বেলটে সিল মেরে ভেতরে এনে বাক্সে ভরা হয়েছে। এই নতুন প্রজন্মও জানলো আওয়ামী লীগের চরিত্রটা কেমন। কেন্দ্র দখলকারী আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে প্রাণঘাতী সংঘষের্ লিপ্ত না হয়ে ধৈযর্ ধারণ করায় তিনি সকল নেতাকমীর্ ও এজেন্টকে ধন্যবাদ জানান। গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও ২০ দলীয় জোটের নিবার্চন পরিচালনা কমিটির আহŸায়ক সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘এই নিবার্চন একেবারেই ডাকাতি হয়েছে, এটি নিবার্চনের মধ্যেই পড়ে না। এটা দস্যুতা হয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনতাই করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আঘাত করা হয়েছে এবং স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার সবোর্চ্চ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’ প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের গাজীপুর-১, ২ ও ৩ আসনের কিছু কিছু অংশ নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকা গঠিত। সিটি করপোরেশনের মোট ওয়াডর্ ৫৭টি। ভোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার হলেন ৫ লাখ ৬৯হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার হলেন ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। সারাদিন ৪২৫টি ভোটকেন্দ্রের, ২৭৬১টি ভোটকক্ষে ভোট প্রদান করার কথা থাকলেও ৯টি কেন্দ্র স্থগিত করে ইসি। সাত জন মেয়রপ্রাথীর্র পাশাপাশি ২৫৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৮৪ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রাথীর্ এই নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে