আজকের যায়যায়দিন

যানজটের কারণে রাজধানীতে একটি যানবাহন ঘণ্টায় যেতে পারে গড়ে ৫ কিলোমিটার। ১২ বছর আগেও এ গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। পাশাপাশি যানজটে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। নিঃসন্দেহে একটি দেশ বা শহরের জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়।

রোববার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (কেআইবি) 'দি ফিউচার পস্ন্যানিং আরবান ট্রান্সপোর্টেশন ইন ঢাকা' শীর্ষক এক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, সামান্য দূরত্বের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেও মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ ও সময়ের অপচয় এখন অস্বাভাবিক মাত্রায় গিয়ে পৌঁছেছে। হাঁটার গতির মতো ঘণ্টায় প্রায় ৫ কিলোমিটারে নেমে এসেছে যন্ত্রচালিত যানবাহনের গতি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ১২ বছর আগেও এ গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। সাম্প্রতিককালের গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, যানজটে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। নিঃসন্দেহে একটি দেশ বা শহরের জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়।

ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক / দুই কার্গো এলএনজি, সার ও ডাল কিনবে সরকার

বক্তারা আরও বলেন, রাজধানীতে প্রতিদিন লোকসংখ্যা বাড়ছে, বিদ্যমান যানবাহনের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক নতুন নতুন যানবাহন। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা ও সংখ্যা থেকে যাচ্ছে সেই আগের মতোই। সরকারের ভিশনারি প্রকল্পগুলো বিশেষ করে, মেট্রোরেল স্থাপনের কাজ চলমান থাকায় নগরবাসীর দুর্ভোগ অবর্ণনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে যেসব পরিকল্পনা বা সুপারিশ গৃহীত হয়েছে বা হচ্ছে এর বেশিরভাগই স্বল্পমেয়াদি ও অদূরদর্শী, সমন্বিত পরিকল্পনা উলেস্নখযোগ্যভাবে দৃশ্যমান নয়। সারাদেশে যাত্রীবান্ধব গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই যাত্রীসেবার মানও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, বেড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। চলমান হতাশাজনক প্রেক্ষাপটে এ সেমিনার কিছুটা হলেও আলোর পথ দেখাবে, ইতিবাচক পথরেখার সন্ধান মিলবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ রকম একটি সেমিনারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিঃসন্দেহে অপরিসীম বলেও সবাই স্বীকার করেন।