দেশে করোনা ভাইরাসের রোগী আছে সামাজিক মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এমন গুজবে কান না দেওয়ার (বিশ্বাস) আহ্বান জানিয়েছে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। ভাইরাস সম্পর্কে কোন-কিছু জানার থাকলে আইইডিসিআরের হটলইনে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআর মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় আইইডসিআর'র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়ানোর ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব বিভাগ ও গণমাধ্যমগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। যাতে কোনো জায়গা থেকে ভুল তথ্য প্রকাশ না হয়। পাশাপাশি সঠিক তথ্য পেতে হলে আইইইডসিআর'র সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ করা হচ্ছে।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনসহ মোট ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও শরীরেই কোভিড-১৯ ধরা পড়েনি। তবে আইইডিসিআর হটলাইনে আসা ৮৪টি ফোন কলের মধ্যে ৫৬টি কলে করোনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কেবল আইইডিসিআর'র কাছে সর্বশেষ ও হালনাগাদ তথ্য আছে জানিয়ে ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ডাবিস্নউএইচও'র দেওয়া তথ্যমতে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৭৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিশ্চিত হয়েছে ১ হাজার ৯০১ জন। আর মোট রোগীর মধ্যে চীনেই আক্রান্ত হযেছে ৭২ হাজার ৫২৮ জন। রোগটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৮৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৯৮ জন। এর মধ্যে হুবইে প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮০৭।
সভায় সিঙ্গাপুরে কভিড-১৯ এর পরিস্থিতি জানিয়ে অধ্যাপক মীরজাদী ফ্লোরা বলেন, ডাবিস্নইএইচও'র মতে সিঙ্গাপুরে ৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে এই সংখ্যা ৮১ জন। প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর থেকে পরীক্ষ-নিরীক্ষা করে ৯৩৭ জনের শরীরে কভিড-১৯ নেগেটিভ ও ১০৩ জনের রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে। শনাক্তকৃত ৮১ জনের মধ্যে আইসিইউতে থাকা ৫ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী রয়েছেন। বাংলাদেশী রোগী আগে থেকেই হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন। এ ছাড়া কোয়ারেন্টাইনে থাকা অন্যরা (৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক) সুস্থ আছে বলে জানান।