কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে লাঠির আঘাতে নুর নাহার (৪৪) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন। ওই নারী দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে এসেছিলেন। এ ঘটনায় আরও দুই নারী আহত হয়েছেন। নিহত নারী হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পুরানো রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা নুর আলমের স্ত্রী।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ওই শিবিরের বি বস্নকে ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, শিবিরের ৭ নম্বর কক্ষের সঙ্গে ৫ নম্বর কক্ষে শিশুদের ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়দের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় ৭ নম্বর কক্ষের ফারুকের স্ত্রী রুখিয়ার সঙ্গে ৫ নম্বর কক্ষের মোহাম্মদ আমিনের দুই মেয়ে ফেরদৌসি ও অল মরিজানের মারামারি শুরু হয়। এ ঘটনায় নুর নাহার উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য ঘরের সামনে দাঁড়ালে তার ঘাড়ে লাঠির আঘাত লাগে। গুরুতর আহত হয়ে সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় ফেরদৌসি (২৫) ও অল মরিজান (৩৩) আহত হন।
পরে স্থানীয় রোহিঙ্গারা তাদের উদ্ধার করে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএমের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক নুর নাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুজন ফেরদৌসি ও অল মরিজানকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।