শীত আর ঘন কুয়াশায়
নষ্ট হচ্ছে শাক-সবজি
যাযাদি ডেস্ক
শীত আর ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের লাউ, করলা, মিষ্টি কুমড়া, আলু, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন রবি ফসল। ফসল রক্ষায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে কোনো কাজে আসছে না। দুশ্চিন্তা আর হতাশায় দিন কাটছে জেলার কৃষকদের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, বৈরী আবহাওয়ায় রবি ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার আলু, লাউ, বেগুন, মরিচ, করলাসহ বিভিন্ন রবি ফসল চাষ করেছে কৃষক। তীব্র শীতের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশায় কৃষকের স্বপ্নের ফসল নষ্ট হচ্ছে। নষ্ট ফসল বাঁচাতে কয়েক দফা কীটনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর গাইবান্ধা জেলায় চলতি রবি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আর ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির চাষ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে এবার আশার আলো নিয়ে শত শত বিঘা জমিতে আলু চাষ করে কৃষক। বৈরী আবহাওয়ায় তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আলুর পাতা কুচকে যাওয়াসহ দেখা দিয়েছে পচনজনিত রোগ। এ অবস্থায় কৃষি বিভাগের কোনো পরামর্শ কিংবা সাহায্য পান না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
ফুলছড়ি উপজেলার খাটিয়ামারির চরের কৃষক আব্দুল গফুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লালচামারের চরের মাহমুদ আলী জানান, ঘন কুয়াশায় বিস্তীর্ণ চরে লাগানো লালশাক, লাউ, বেগুন, করলা পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোনো প্রতীকার মিলছে না। অপরদিকে অনেক আশা নিয়ে তারা আলু চাষ করেছেন। শীতে আলু গাছ মরে গেছে। তাই চিন্তিত তারা।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ছাহেরা বানু বলেন, 'কৃষি কর্মকর্তারা চাইলেও সব ক্ষেতে যেতে পারবে না। কৃষকদের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। এছাড়াও আমরা কৃষকদের মাঝে পরামর্শপত্রও বিতরণ করছি।'