রাজধানীতে গুলিস্তান, মালিবাগ, সায়েন্স ল্যাবসহ ঢাকা শহরের পাঁচটি স্থানে পুলিশের ওপর বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ নব্য জেএমবির আরও দুই জঙ্গিকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জামাল উদ্দিন রফিক ও মো. আনোয়ার হোসেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি মুঠোফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।
মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নব্য জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তারা ঢাকা শহরে পুলিশের ওপর পাঁচটি স্থানে বোমা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। গ্রেপ্তার করা রফিকের নেতৃত্বে গত বছরের ২৯ এপ্রিল গুলিস্তান, ২৬ মে মালিবাগ, ২৩ জুলাই পল্টন মোড় ও খামার বাড়ি এবং ৩১ আগস্ট সায়েন্স ল্যাব মোড়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলা হয়। পুলিশের ওপর ছোড়া বোমাগুলো রফিক তাঁর বাড়িতে তৈরি করেছিলেন। রফিক এই গ্রম্নপের নেতা। তিনি পুলিশের ওপর হামলার পাঁচটি ঘটনায় নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে চারটি ঘটনায় তিনি সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। তিনি খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা। গ্রেপ্তার হওয়া আরেকজন আনোয়ার হোসেন পেশায় একজন ড্রাইভার ছিলেন। তিনি পোড়া মবিলের ব্যবসা করতেন।
মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা কালো পোশাক পরে খেলনা অস্ত্র, বোমাসহ সুইসাইডাল ভেস্ট পরে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথাবার্তা সংবলিত একটি ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে প্রচার করেছিলেন। ভিডিওতে জামাল উদ্দিন রফিক, ফরিদ উদ্দিন রুমি, আবদুলস্নাহ আজমীর ও আনোয়ার অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়াসহ তাদের উগ্রবাদী সংগঠনের সক্ষমতা ও রিক্রুটমেন্ট ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে অনলাইনে ভিডিও ক্লিপ প্রচার করতেন।
এর আগে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ফরিদ উদ্দিন রুমি, আবদুলস্নাহ আজমীর, মেহেদী হাসান তামিম, মিশুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ তক্কার মোড়ে রফিকের বোমা তৈরির কারখানায় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট অভিযান পরিচালনা করে তাজা বোমাসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে।