বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনসিসির ওয়ার্ড ১০ বিএনপিতে স্বস্তি আ'লীগে অস্বস্তি

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বড় দুটি দলের বিদ্রোহী অন্য কোনো নেতা নির্বাচনী লড়াইয়ে না থাকলেও নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর আবু তাহেরকে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে আছে অস্বস্তি। অন্যদিকে বিএনপিতে বিদ্রোহী কেউ না থাকার পাশাপাশি সমর্থিত প্রার্থী মাসুদ খানের স্বচ্ছ ইমেজেরে কারণে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্বস্তি নিয়ে প্রচারণার মাঠে রয়েছেন।

দারুস সালাম, গোলারটেক, প্রথম কলোনি, দ্বিতীয় কলোনি, তৃতীয় কলোনি, লালকুঠি ও গাবতলির কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড। ১ দশমিক ৬৬৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই ওয়ার্ডে ভোটার ৫৬ হাজার ৭০২ জন। ওয়ার্ডে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আবু তাহের। তিনি দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবু তাহের সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, 'আমি আবার এলাকাবাসীর দোয়া ও সমর্থন চাই। পুনরায় নির্বাচিত হলে অবশিষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করব। এবার নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করব।'

তবে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন পাওয়া আবু তাহের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। ২০০৮ সালে গঠিত দারুস সালাম থানা বিএনপির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কার্যনির্বাহী কমিটির ৮২ নম্বর সদস্য ছিলেন ওই আবু তাহের। এরপর আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তবে তার নিকটাত্মীয়রা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর আবু তাহের গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করেন তাঁতী লীগ নেতা শাহজাহানকে। ঢাকা উত্তরের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রচ্ছায়ায় দাপুটে হয়ে ওঠা আবু তাহেরের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক সাধারণ মানুষের জমি দখলের অভিযোগ। ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিণত করেছেন। এজন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগে তাকে নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন প্রচারণা চালানো নিয়েও শঙ্কা আছে।

অন্যদিকে এই ওয়ার্ড থেকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে মাসুদ খানকে। তিনি দারুস সালাম থানা বিএনপির উপদেষ্টা। মাসুদ খান বলেন, ২০০২ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন। দায়িত্বে থাকাকালে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। দিনরাত মানুষের প্রয়োজনে বিপদে ছুটে গেছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ তাকে ভোট দেবেন।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রমতে, মাসুদ খান স্বচ্ছ ইমেজের অধিকারী। জনপ্রতিনিধি থাকা অবস্থায় কর্তব্যে অবহেলা করেননি। দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগও নেই তার বিরুদ্ধে। দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বিপেদ আপদে সবসময় তাকে পাওয়া গেছে। সঙ্গত কারণে স্থানীয় বিএনপিতেও কোনো কোন্দল নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা মাসুদকে নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য কাজ শুরু করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<83875 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1