মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বি.বাড়িয়ায় বাহার হত্যায় ৪ জনের মৃতু্যদন্ড

নতুনধারা
  ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ঢাকার কসমেটিক ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান বাহার (৪৫) হত্যা মামলার রায়ে চারজনের মৃতু্যদন্ডাদেশ প্রদান করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এই রায় প্রদান করেন।

মৃতু্যদন্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামের মরহুম আবু মিয়ার ছেলে মো. নূরু মিয়া, কুমিলস্না জেলার মুরাদনগর উপজেলার মকলিশপুর গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. জিয়াউল হক, একই উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের শব্দের খান ওরফে ভুট্টো খানের ছেলে লোকমান খান ও একই উপজেলার কামারচর গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মো. কাদির হোসেন।

এই মামলার অপর আসামি মো. বাবুল মিয়া কারাগারে থাকাবস্থায় ২০১৮ সালের ১৬ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতু্যবরণ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়কের প্রতিবেদনের আলোকে গত ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

রায় ঘোষণাকালে আসামি মো. জিয়াউল হক

আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা এই মামলা থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার আম্বরনগর গ্রামের হাজী আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল হান্নান বাহার ঢাকার চকবাজারে তার মালিকানাধীন 'বিপুল এন্টারপ্রাইজ' নামক দোকানে কসমেটিক ও ইমিটেশনের ব্যবসায় করতেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাহারের দোকান থেকে পাইকারি মালামাল কিনতেন।

মামলার দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন সময়ে আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জানান, ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান বাহার গত ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে বাঙ্গরা বাজারে লোকমানের দোকানে যাওয়ার পর লোকমান তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাহারকে একটি ইঞ্জিনের নৌকায় তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে নৌকায় আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য বাহারের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন। আসামিরা ৪ আগস্ট থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাহারকে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে।

কিছু টাকা আদায়ের পর আরো টাকার জন্য বাহারকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা। ৬ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে আসামিরা বাহারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর লঞ্চঘাটের বিপরীত দিকে তিতাস নদীতে ফেলে তার মৃতু্য নিশ্চিত করে। ৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে নদী থেকে বাহারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান বাহারের ছোট ভাই বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ৯ আগস্ট বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

হত্যার ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে আসামি মো. নুরু মিয়া ও মো. জিয়াউল হককে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় তারা হত্যা ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নাম বলেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার চার আসামির মৃতু্যদন্ডাদেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<83297 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1