পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। শুক্রবার থেকে ঈদযাত্রা শুরু হবে। অন্যদিকে ঘরে ফেরা মানুষের ঢাকা আগমন নিবির্ঘœ করতে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের রিটানর্ টিকিট বিক্রি। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করার পরও কাক্সিক্ষত এই টিকিটও না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, কমলাপুর স্টেশনের ৫ নম্বর কাউন্টার থেকে রিটানর্ টিকিট দেয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের নিজ নিজ স্টেশন থেকেও একযোগে দেয়া হচ্ছে রিটানর্ টিকিট। বৃহস্পতিবার দেয়া হচ্ছে ২৬ আগস্টের টিকিট। একইভাবে ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৬, ২৭, ২৮ আগস্টের রিটানর্ টিকিট।
রেজাউল নামে এক টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, আমি সকালে স্টেশনে এসেছিলাম। তখন মাত্র চারজন ছিলেন। এরপর লোক বাড়তে থাকে। কিন্তু টিকিট বিক্রি শুরুর পরপরই আমাকে বলা হয় এসি টিকিট নেই। কাউন্টারে রেজাউলের প্রশ্ন ছিল কীভাবে এত দ্রæত শেষ হলো? এর জবাবে তাকে বলা হয়, শোভন চেয়ার আছে। নিলে নিতে পারবেন।
টিটু নামে অপর এক টিকিটপ্রত্যাশী রংপুর থেকে আসার টিকিট নিতে এসে এসি না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবতীর্ বলেন, রিটানর্ টিকিট নিয়ে অভিযোগের কিছু নেই। এ টিকিট দেশের সব স্টেশন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সব স্টেশন থেকে একযোগে দেয়া হচ্ছে। তাই সবাই এসি নিতে চাচ্ছেন। এতে কেউ পাচ্ছেন, কেউ পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, আমাদের সব ট্রেনে এসি কেবিন সংখ্যা কম। শোভন চেয়ার বেশি। তাছাড়া টিকিট থাকলে কাউকে ফিরিয়ে দেয়ার ইতিহাস নেই।
যেহেতু অনলাইনে টিকিট, তাই স্ক্রিনের মাধ্যমে টিকিটপ্রত্যাশীরা সব দেখতে পান। আমরা একটি টিকিট থাকা পযর্ন্ত বিক্রি করি, এটা সব স্টেশনের ক্ষেত্রে। তাছাড়া কালোবাজারে যেকোনো টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে পুলিশ, র্যাব, রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, আনসার সদস্য ও গোয়েন্দা সদস্যরা সবসময় নিয়োজিত আছেন।
অন্যদিকে, শুক্রবার থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করে প্রায় এক লাখ মানুষ ঘরে ফিরবেন বলে আশা করছেন সিতাংশু। একইসঙ্গে তিনি সব যাত্রীকে ট্রেনের ছাদ বা বাফারে না ওঠার অনুরোধ জানান।