শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বছরের প্রথম চ্যালেঞ্জ সিটি নির্বাচন : কাদের

নতুনধারা
  ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক ইসু্য নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের -যাযাদি

যাযাদি রিপোর্ট

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নতুন বছরের প্রথম চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আমরা একটি ভালো নির্বাচন করতে চাই। ফলাফল যাই হোক আমরা মেনে নেব।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক ইসু্য নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

'নতুন বছর গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ কী দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরে গণতন্ত্রের জন্য দুই সিটি নির্বাচন হচ্ছে প্রথম চ্যালেঞ্জ। আমরা একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। আমরা একটি ভালো নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচনের যেটাই ফল হোক মেনে নেব।'

জয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি জানিয়ে কাদের বলেন, 'আমরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। আমাদের কাজ যথারীতি শুরু হবে।'

তিনি বলেন, বিএনপির কে যে কোন কথা বলে বুঝি না। তাদের এক একজন একেক রকমের কথা বলে। তাদের নেতাদের মধ্যে বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তারা এলোমেলো হয়ে গেছে। তাদের দলের দু'জন সিনিয়র লিডার দল থেকেই চলে গেছেন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য। আমার মনে হয় তারা নির্বাচনে আসবেন ও শেষ পর্যন্ত তারা থাকবেন।

কাদের বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে বাংলাদেশে যে সব নির্বাচন হয়েছে এর মধ্যে বেশিরভাগে বিএনপি জিতেছে। এখানে হারানোর কিছু নেই। ইভিএম হলে তাদের আরো বেশি করে জেতার সম্ভাবনা থাকতে পারে। নির্বাচনে ইভিএম ত্রম্নটিযুক্ত মনে করার কোনো কারণ নেই। এর আগে আমাদের দেশে ইভিএম নিয়ে কোনো ত্রম্নটি ধরা পড়েনি। এ পদ্ধতি দিয়ে ত্রম্নটিমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপির একটি পুরনো অভ্যাস হলো নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যায়। তারা নানান অভিযোগ তোলে, আগেই তারা হেরে যাওয়ার অজুহাত খোঁজে এবং জনগণের সামনে তা উত্থাপন করে। নির্বাচনের ফলাফলের পর তোতা পাখির মতো তারা বুলি আওড়াতে থাকে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে।'

নতুন বছরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা হবে, এক্ষেত্রে বিরোধীদল একটি বড় পার্ট। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কোনো মেসেজ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরোধীদল সব সুযোগ-সুবিধা পাবে। তারা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারবে। সভা-সমাবেশ করতে পারবে। স্পিকার তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট উদার। সরকারও নমনীয়। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে সরকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কাজেই বিরোধীদলের জন্য সভা-সমাবেশে আমরা এখনও কোনো কার্পণ্য করছি না, নতুন বছরেও তারা সে সুবিধা পাবে।

বিরোধীদের আস্থার জন্য কোনো উদ্যোগ থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশের বিরোধীদল সরকারের ওপর আস্থা রাখে না। একটি দেশে একটি বিরোধীদল দেখান সেটা প্রতিবেশী ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকাসহ উন্নত কোনো দেশেই বিরোধীদল সরকারিদলকে আস্থায় নেবে না। তাহলে তাদের রাজনীতিটা কোথায় থাকে।

কাউন্সিলরদের মনোনয়নে ক্লিন ইমেজ দেওয়া হবে এ বিষয়ে কতটা করতে পেরেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু ভুল-ত্রম্নটি ছিল। সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে, সেগুলো আমরা সংশোধন করব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<82513 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1