বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তিপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারি আছে জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, যারা ভর্তিবাণিজ্য করবেন, তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, শুধু ভর্তিবাণিজ্য নয়, শিক্ষায় কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। দুর্নীতিপরায়ণ কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিবাণিজ্য নিয়ে প্রশ্ন করলে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, 'আমাদের নিষ্পাপ শিশুদের ভর্তিবাণিজ্যের মতো অনৈতিক পাপ স্পর্শ করুক, তা আমরা চাই না। তাদের শিক্ষাজীবন দুর্নীতি দিয়ে শুরু হতে পারে না। নিয়মনীতির মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের 'শূন্য সহিষ্ণুতার' নীতি অব্যাহত রাখা হবে।'
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কোচিং, নোট-গাইড বাণিজ্য বন্ধে কমিশন আরও সক্রিয় হবে। এসবের মাধ্যমে যিনি বা যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
রূপপুর বালিশকান্ডে ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন রূপপুর বালিশকান্ডে ৩১ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে। মামলাগুলো এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তদন্তে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের 'তদন্তে আগত আসামি' হিসেবে চার্জশিটভুক্ত করা হবে।
প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অতি দ্রম্নত অনুসন্ধান করে এসব মামলা দায়ের করা হচ্ছে। প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি দমনে কমিশন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। মেগা প্রকল্পে কমিশনের নজরদারি আছে বলেও মন্তব্য করেন দুদক চেয়ারম্যান।