আজকের যায়যায়দিন

যাযাদি ডেস্ক

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে লবণ নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে লবণ ব্যবসায়ীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে লবণ বিক্রি করেছেন। কেজিপ্রতি ১৫ টাকা দরে লবণ বিক্রির পাশাপাশি এ গুজবকে তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে চার লবণ মিল কর্তৃপক্ষ খোলাবাজারে লবণ বিক্রি করেন।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম বলেন, 'গুজব ছড়ানোর কারণে লবণের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের গুদামে প্রচুর লবণ আছে। লবণের মূল্যবৃদ্ধি করাটা আমি মনে করি চক্রান্ত। এ ষড়যন্ত্র সরকারের বিরুদ্ধে এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।'

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের নেই সঠিক পরিসংখ্যান

তিনি বলেন, 'আমরা এখানে প্রতি কেজি লবণ ১৫ টাকায় বিক্রি করছি। নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে আমরা খোলাবাজারে লবণ বিক্রি করছি। খাতুনগঞ্জ, স্ট্যান্ডরোড ও মাঝিরঘাটের ব্যবসায়ীরা আগ্রাবাদের বিভিন্ন পয়েন্টে লবণ বিক্রি করছেন।'

প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে লবণ ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন করেন। এতে অংশ নেয় মেসার্স আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স ইসলামাবাদ সল্ট রিফাইনারি, মেসার্স কবির অ্যান্ড সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা।

শিল্প মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে ছয় লাখ টনের বেশি ভোজ্যলবণ মজুত রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের লবণ চাষিদের কাছে চার লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে দুই লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুত রয়েছে। এমতাবস্থায় লবণ সংকটের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।

লবণ-সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) প্রধান কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর নম্বর ০২-৯৫৭৩৫০৫ (ল্যান্ডফোন), ০১৭১৫২২৩৯৪৯ (সেলফোন)।

লবণ-সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ কিনতে প্রচুর মানুষের ভিড় দেখা যায়। কেউ দুই কেজি, কেউ পাঁচ কেজি লবণ কিনছিলেন। এমনকি বন্ধ দোকান খুলেও অনেক বিক্রেতা লবণ বিক্রি করেন।