সড়ক পরিবহণের নতুন আইন কার্যকর করার সময় আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহণের নতুন আইন কার্যকর নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, 'এ আইন প্রয়োগের শুরুতে এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছিল সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। এবার আরও এক সপ্তাহ সময় একই কারণে বাড়ানো হলো। এরপর থেকে কঠোরভাবে আইন বাস্তবায়নে কাজ করা হবে।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত কঠোর আইন প্রয়োগের আগে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন। তাই তাদের সচেতনতা বাড়াতে আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হলো। এরপর থেকে আইনটি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া এ আইনের বিধি প্রণয়নের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
কঠিন আইন বাস্তবায়ন করলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে জানিয়ে সড়ক পরিবহণমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে। এ কথা সবার মেনে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যে কঠিন আইন করা হয়েছে, তা জানগণকে জানানোর জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হচ্ছে। আমাদের দেশের মিডিয়াও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখছে। এই কঠিন আইন প্রয়োগ হলে সবাই সড়কে নিয়ম মেনে চলবে।
সড়ক আইন প্রয়োগে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেটার লেট দ্যান নেভার- আইনটি এখন প্রায়োগিক পর্যায়ে চলে এসেছে। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত (অ্যালাইনড) করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার প্রত্যাশা জানিয়েছেন। এখন আমরা প্রয়োগে যাওয়ার পর্যায়ে রয়েছি। আইনের বিধি প্রণয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে।
সড়ক আইন প্রয়োগে সবকিছু নিয়ে আঁট-ঘাঁট বেঁধে নামতে হবে উলেস্নখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নগরে সড়কে, ফুটপাতে, পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা আনতে দেশের দুই সিটি করপোরেশন কাজ শুরু করলেও ডেঙ্গুর প্রকোপের কারণে তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। তার পর আমরা কাজ এগিয়ে নিয়েছি তা বাস্তবায়নের পথে। এরই মধ্যে যেসব ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই তারা লাইসেন্স করার জন্য ভিড় করছে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে কোনো অপকর্মের ছাড় না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিআরটিএর কর্মকর্তারা যদি দুর্নীতি করে তাহলে তাকে ছাড় না দিয়ে বাদ দিতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করতে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে। বিআরটিএর ভেতরও দালাল আছে, তা না থাকলে বাইরের দালাল থাকে কীভাবে, তাদেরও সরিয়ে দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'অন্য দল নিয়ে এখন ভাবছি না। আওয়ামী লীগে যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদের নিয়ে আমরা বেশি ব্যস্ত। দেশে যেসব রাষ্ট্রদূত আছেন, বিকেলে তাদের সঙ্গে কথা হবে। বিএনপি কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, অভিযোগ করে, কী অভিযোগ করেছে, সে কথা আমাদের শুনতে বলে।'
এর আগে সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ বাস্তবায়ন এবং জনসচেতনতা তৈরিতে বিআরটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ওবায়দুল কাদের।