শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসএফ সদস্য নিহতের ঘটনা কীভাবে দেখা হচ্ছে ভারতে

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশের রাজশাহী সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির গুলিতে একজন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে খুব একটা গুরুত্ব না পেলেও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।

ভারতের বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমগুলোতে শুক্রবার প্রথম পাতায় স্থান করে নিয়েছে এই খবরটি।

ঘটনা সম্পর্কে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিএসএফের দেয়া ভাষ্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যদিও একই সংবাদে তারা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভাষ্যও যুক্ত করেছে।

ভারতের পত্রপত্রিকায় বড় খবর: ভারতের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রথম পৃষ্ঠায় চার কলামজুড়ে প্রধান শিরোনাম হয়েছে এই খবর। রিপোর্টে বলা হয়, পতাকা বৈঠকের পর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা বিএসএফকে গুলি করেছে এবং এতে এক জওয়ান নিহত হয়েছে।

বিএসএফকে উদ্ধৃত করে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো রকম উসকানি ছাড়াই গুলি ছোড়া হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের তিনজন জেলে মাছ ধরার সময় পদ্মা নদীর সীমান্ত পেরিয়ে মাছ ধরার জন্য বাংলাদেশে ঢুকেছিল।

প্রতিবেদনটিতে আরও উলেস্নখ করা হয় যে, মুর্শিদাবাদের অনেক এলাকায় নদীতে সীমান্ত পিলার দৃশ্যমান নয়। ফলে ধারণার ওপর ভিত্তি করে সীমান্ত ধরে নেয় জেলেরা। সে জন্য বিভিন্ন সময় ভারত এবং বাংলাদেশের জেলেরা নদীর মাঝখানে সীমান্ত অতিক্রম করে।

কলকাতার পত্রিকা আনন্দবাজার শিরোনাম করেছে, 'পদ্মার বুকে গুলি, মৃতু্য জওয়ানের।'

পত্রিকাটি তাদের প্রথম পাতায় ওপরের দিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এই সংবাদটি পরিবেশন করেছে।

বিএসএফকে উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার লিখেছে, 'আটক হওয়ার পরে মৎস্যজীবীরা বলেছিলেন যে, ভারতীয় সীমান্ত-রক্ষীদের অনুমতি নিয়েই পদ্মার ওই অংশে মাছ ধরতে এসেছেন তারা। শুনে বিজিবির জওয়ানেরা প্রণবকে আটকে রেখে অন্য দু'জনকে বলেন, 'তোরা বিএসএফকে ডেকে আন। তার পরে ওকে ছাড়ব।'

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর কারও এভাবে মৃতু্যর নজির স্মরণকালে নেই বলে উলেস্নখ করে আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিএসএফকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি বলেছে, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা ভারতীয় জেলেকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় এবং বিএসএফ সদস্যদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে।

পরিস্থিতির অবনতি আঁচ করে বিএসএফ সদস্যরা যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন বিজিবি গুলি ছোড়ে বলে উলেস্নখ করে এনডিটিভি।

কলকাতার বাংলা দৈনিক 'এই সময়' তাদের প্রথম পাতায় এই সংবাদটিকে স্থান দিয়ে শিরোনাম করেছে, 'বাংলাদেশের গুলিতে হত এক জওয়ান।'

এই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, গুলি চালানো ছাড়াও বিজিবি এক ভারতীয় মৎস্যজীবীকে জোর করে আটকে রেখেছে।

ভারতের সামাজিক মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক ভারতীয় মন্তব্য করেছে। এদের মধ্যে অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

অভ্রদীপ দত্ত নামে একজন টুইট করেছেন, 'পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি কিভাবে গুলি করার সাহস পেল? বাংলাদেশীদের সমস্যা কোথায়?'

হরিশ চৌহান টুইটারে লিখেছেন, 'বাংলাদেশকে কঠিন শিক্ষা দেবার সময় এসেছে। নরেন্দ্র মোদি স্যার চুপ কেন?'

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নামে এক ভারতীয় নাগরিক টুইট করেছেন, 'দুই পক্ষের দিক থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। বিজয় ভান সিং-এর আত্মত্যাগের জন্য স্যালুট।' বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71784 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1