শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জি কে শামীম আরও ৯ দিনের রিমান্ডে

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০৬
যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে গুলশান থানার দুটি মামলায় ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম। ছবিটি বুধবার সিএমএম আদালত থেকে তোলা -ফোকাস বাংলা

অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার আইনের দুই মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৯ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশের জামিন আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম বুধবার এই জামিন মঞ্জুর করেন। অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাকে অস্ত্র মামলায় আরও সাত দিন এবং মানি লন্ডারিং মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। শুনানি শেষে বিচারক অস্ত্র মামলায় চার দিন এবং মুদ্রা পাচার আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি চালিয়ে আসা শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদারি কাজে তার দাপটের খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায়র্ যাব। তখন শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইন এবং মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দেয়র্ যাব। ওই দিন শামীমকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। দুই মামলায় পাঁচ দিন করে তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। অন্যদিকে পুলিশের আবেদনে অস্ত্র মামলায় শামীমের দেহরক্ষীদের চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার মুদ্রাপাচার আইনের মামলাতেও তাদের চার দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করে আদালত। আইন অনুযায়ী সিআইডি মুদ্রাপাচার মামলার তদন্ত করবে বলে সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে