বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুষখোর আর ভিক্ষুকের মধ্যে পার্থক্য নেই: দুদক

নতুনধারা
  ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ০২ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০৫
ইকবাল মাহমুদ

যাযাদি রিপোর্ট ঘুষখোরদের কোনো আত্মমর্যাদা থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক থেকে উপ-পরিচালক পদমর্যাদার পদোন্নতি পাওয়া ৩০ কর্মকর্তার অফিস শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, কাজের গোপনীয়তা এবং অফিসিয়াল আচরণ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যারা মনে করেন ঘুষ খেলে কেউ জানবে না, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। তিনি ঘুষ খাওয়া এবং ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দুদককে একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হলে কর্মকর্তাদের প্রতিটি কাজ হতে হবে সুনির্দিষ্ট, পরিমাপযোগ্য, অর্জনযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও সময়াবদ্ধ। এর বিচু্যতি ঘটলে কমিশনকে যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা কঠিন। কর্মকর্তাদের কর্মে এ বিষয়গুলোর প্রতিফলন থাকতে হবে। তাই আপনাদের আচার-আচরণ এবং কর্মসম্পাদনে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির কোনো বিকল্প নেই। ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্তের তথ্য ব্যবস্থাপনায় এমন কোনো সুযোগ রাখা সমীচীন হবে না, যাতে অপরাধীরা কমিশনের নথির গতিবিধি এবং আগাম তথ্য জানতে পারে। এভাবে কমিশনের তথ্য পাচার অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তিনি বলেন, নিজে পরিবর্তন না হলে, পরিণত মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব। তাই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই নিজেকে নিজেই পরিবর্তন করুন। কমিশনের প্রতিটি কার্যক্রম টিমওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট। তাই কর্মকর্তাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে। তবে সবাইকে অফিস ডেকোরামও মানতে হবে। অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষা অফিসিয়াল আচরণের অন্যতম ভিত্তি। আরডিএর সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক: সাড়ে ৫০ কাঠা জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সাবেক এক চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার কমিশন থেকে এ মামলা করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। "শিগগিরই দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।" মামলায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যাদেরকে আসামি করা হচ্ছে তারা হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক এস্টেট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক, হিসাবরক্ষক মো. রুস্তম আলী, উচ্চমান সহকারী মোস্তাক আহমেদ। এছাড়া অবৈধভাবে পস্নটগ্রহীতা মো. এনামুল হক, আবু রায়হান শোয়েব আহমেদ সিদ্দিকী, এসএম খোদেজা নাহার বেগম, মো. রবিউল ইসলাম স্বপন, \হমো. মাহফুজুল হক ও মো. খায়রুল আলমকেও আসামি করা হচ্ছে। দুদকের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০৬ সালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার আটটি বাণিজ্যিক পস্নট বরাদ্দের বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গোপনে সিদ্ধান্ত নেন। জালিয়াতির মাধ্যমে আটটি দরপত্র তৈরি করে তা অনুমোদন করেন এবং দরদাতাদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৬৭ কাঠা জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ দেয়া হয় বলে দুদকের প্রতিবেদনে উলেস্নখ রয়েছে। এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে জানান প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে