শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
জুয়ার আসর

অভিযানের পর চট্টগ্রামেও প্রভাবশালীদের নাম

চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকার পর চট্টগ্রামের পাঁচটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব)। এরমধ্যে তিনটিতে জুয়ার আসর বসত বলের্ যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে
যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মাদক ও অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকার পর চট্টগ্রামের পাঁচটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্(যাব)। এরমধ্যে তিনটিতে জুয়ার আসর বসত বলের্ যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায়র্ যাব। আর পুলিশ অভিযান চালায় নগরের ফ্রেন্ডস ক্লাব ও শতদল ক্লাবে।

মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে অভিযান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। পরে এ ক্লাব থেকে কিছু দূরে সদরঘাট এলাকার মোহামেডান ক্লাবে যায়র্ যাবের একটি দল। ক্লাবে কার্ড ও জুয়া খেলার বিভিন্ন আলামত পানর্ যাবের কর্মকর্তারা। খাতা ঘেঁটে ক্লাবটিতে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) পর্যন্ত কার্ড খেলার হিসাব পাওয়া গেছে। ঢাকায় জুয়ার আসর ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযানের পর বন্ধ রাখা হয় ক্লাবগুলো।

পরে নগরের হালিশহর এলাকার আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায়র্ যাব। সেখানেও একই ধরনের আলামত মেলে। কিন্তু চলমান অভিযানের ভয়ে কয়েকদিন আগে থেকে ক্লাবটি বন্ধ রাখা হয় এবং জুয়ার বোর্ডসহ খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়। পরে আবাহনী লিমিটেডের ব্যানার সরিয়ে বাইরে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যানার লাগানো হয়।

র্

যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজামউদ্দিন বলেন, 'অন্য দুটি ক্লাবের মতো এখানেও একই ধরনের আলামত মিলেছে। তবে ক্লাবটিতে কেউ ছিল না। ধারণা করছি, চলমান অভিযানের কারণে তারা জুয়া বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছে।'

সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবটি পরিচালনায় আছেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী এমপি। নামে ক্লাব হলেও সেখানে কোনো ক্রীড়া সামগ্রী নেই। প্রতিদিনই বসত মদ ও জুয়ার আসর। লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলত সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। টাকার বেশিরভাগ অংশ চলে যেত ওই এমপির তহবিলে। ক্লাবটি পরিচালনায় ওই এমপি থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবলীগ নেতা সালেহ আহমেদ দীঘল।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সালেহ আহমেদ দীঘল বলেন, 'যুবলীগের রাজনীতি করি বলে মাঝে-মধ্যে ওই ক্লাবে যেতাম। ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণ বা অংশীদার কোনোটাই ছিলাম না। ক্লাবটি সরাসরি ওই এমপি পরিচালনা করতেন। তিনি বলেন, যুবলীগ করি বলেই কি আমার অপরাধ? এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ

(সিএমপি) কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, অনিয়ম ও জুয়ার আসর পরিচালনায় সম্পৃক্তরা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<68007 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1