শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
মাঠে নেমেছে পিবিআই

এসআই খায়রুলকে আসামি করা নিয়ে ধূম্রজাল

যশোর প্রতিনিধি
  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
এসআই খায়রুলকে আসামি করা নিয়ে ধূম্রজাল

যশোরের শার্শায় নিজঘরে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি হাতে পেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগেই মামলায় চার আসামির তিনজন গ্রেফতার হয়েছে।

আটক না হওয়া একমাত্র আসামিকে নিয়ে 'ধূম্রজাল' রয়েছে। ঘটনার শিকার গৃহবধূর দাবি, ওই আসামি প্রধান অভিযুক্ত এসআই খায়রুল। কিন্তু তিনি আসামি শনাক্তের সময় চিনতে না পারার কথা বলায় এ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। পরে তিনি দাবি করেন, ভয়ে এসআই খায়রুলের নাম বলতে পারেননি। এ কারণে মামলার অজ্ঞাত আসামি শনাক্ত করায় এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এজন্য অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নিয়েছেন পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা। এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মামলার ডকেট হাতে পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। অপরাধী শনাক্তে ডিএনএ টেস্টসহ যা যা করণীয় সবকিছুই করা হবে।

জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে গভীর রাতে যান এসআই খায়রুল, সোর্স কামরুলসহ চারজন। তারা ওই গৃহবধূর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই খায়রুল ও কামরুল তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। ৩ সেপ্টেম্বর ভিকটিম শার্শা থানায় তিনজনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত একজনের নামে মামলা করেন। মামলাটি বৃহস্পতিবার পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পিবিআই যশোর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে ইন্সপেক্টর শেখ মোনায়েম হোসেনকে। দায়িত্ব পেয়েই ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ওই গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শন ও জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মোনায়েম হোসেন বলেন, 'ভিকটিমের 'সোয়াপ কালেকশন' করে ডিএনএ প্রোফাইলের জন্য সিআইডি হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাওয়া ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে গ্রেফতার তিনজনের ডিএনএ টেস্ট করাতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।'

প্রধান অভিযুক্ত এসআই খায়রুল আলম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটি তদন্তের বিষয়। তদন্তে কারও যদি সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে।'

এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই গৃহবধূ নিজেই ধর্ষণের অভিযোগ তুলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই দিন রাতেই শার্শা থানায় মামলা করেন গৃহবধূ। মামলায় এসআই খায়রুলের নাম উলেস্নখ ছাড়া আসামি করা হয় কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লহ্মণপুর এলাকার আব্দুল লতিফ, আব্দুল কাদের ও এক অজ্ঞাত আসামি। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন, ভয়ে সেদিন রাতে এসআই খায়রুলের নাম বলতে পারেননি।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধী) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যেও কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।

যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, তদন্ত কমিটির তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা আছে। সেই হিসেবে রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে তদন্ত কমিটি। তদন্তে প্রমাণিত হলে এসআই খায়রুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<65929 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1