শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু সায়মা ধর্ষণ-হত্যায় প্রতিবেদন পিছিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
সামিয়া আক্তার সায়মা

রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রামে শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মো. অর্জুন প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম নতুন তারিখ ধার্য করেন।

গত ৮ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে আদালতে হাজির করেন ও জবানবন্দি নেয়ার আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে কারাগারে পাঠান।

এর আগে, গত ৭ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে হারুনকে গ্রেফতার করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা।

ওইদিন দুপুরে ওয়ারী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) ইফতেখার আহমেদ বলেন, গত ৫ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সায়মা তার মাকে বলে যায়, ভবনের আট তলায় ফ্ল্যাট মালিক পারভেজের ছোট বাচ্চার সঙ্গে খেলতে যাচ্ছে। ওই ফ্ল্যাটে গেলে পারভেজের স্ত্রী জানান, তার মেয়ে ঘুমাচ্ছে। এ কারণে সায়মা বাসায় ফিরে আসছিল। শিশু সায়মা ওয়ারী সিলভারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়ত।

৭ জুলাই হারুনকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, ভবনের লিফটে নামার সময় সায়মার সঙ্গে পারভেজের খালাতো ভাই হারুনের দেখা হয়। সে সায়মাকে ছাদ দেখানোর কথা বলে ছাদে নিয়ে যায়। এরপর সে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে সায়মা চিৎকার দেয়। এসময় সে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ও ধর্ষণ করে। পরে সায়মাকে নিস্তেজ দেখে তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে টেনে ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে নিয়ে যায়। এরপর তার মরদেহ সিঙ্কের নিচে রেখে হারুন তার গ্রামের বাড়ি কুমিলস্নার তিতাস থানার ডাবর ডাঙ্গায় চলে যায়।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে শিশু সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের ছয় তলায় শিশু সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকত।

পরের দিন ৬ জুলাই দুপুরে সায়মার মরদেহের ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখ ও গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

আব্দুল বাতেন বলেন, হারুন পুরান ঢাকায় পারভেজের রঙের দোকানে কাজ করত। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল না। সে একাই এটা ঘটিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে হারুন ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<64036 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1