শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বালিশকান্ড নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চায় হাইকোর্ট

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের কেনাকাটা নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। তাই মামলার শুনানি হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পর এক সপ্তাহ পর্যন্ত মুলতবি রেখেছে আদালত।

রূপপুরে বিদু্যৎকেন্দ্রের দুর্নীতির ঘটনায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন দাখিলের পর রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

এর আগে গত ২ জুলাই রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্প নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের করা দুটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল এবং ওই প্রতিবেদন অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র বিশ্বস্ততার সঙ্গে (গুড ফেইথ) কেনা ও উত্তোলনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল আদালত।

পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনে আসবাবপত্র কেনায় যাদের বিশ্বস্ততা দেখানোর কথা ছিল, তারা সেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থ হওয়াটা কেন অবৈধ বলে বিবেচনা করা হবে না, এ মর্মে আদালত রুল প্রদান করে। এছাড়া, আদালত সরকারপক্ষকে বলেছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা কী প্রতিবেদন নিয়ে আসবে, তা জমা দেয়ার জন্য এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলেছে।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকোশলী, রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক।

ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। ওইসব প্রতিবেদনে রূপপুর 'বালিশকান্ড'র ঘটনায় ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকার গরমিল এবং গণপূর্তের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের ১১০টি ফ্ল্যাটের জন্য অস্বাভাবিক দামে আসবাবপত্র কেনা ও ভবনে ওঠানোর ঘটনা অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তদন্ত প্রতিবেদন দুদককে দেওয়া হবে। দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পে ২০ ও ১৬তলা ভবনের ১১০টি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনা এবং ভবনে ওঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

পরে গত ১৯ মে এ ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<59313 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1