সরকারি কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে বড় ভুলও অপরাধ নয় বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের ৫ম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্টে বলা হয়েছিল যে, সরল বিশ্বাসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি ভুল করে তাহলে সেটা অপরাধ হবে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, 'ইট ইজ ভেরি ক্লিয়ার টু এভরিবডি। যে এটা কোনো অপরাধ নয়, সরল বিশ্বাসে আপনি যদি কোনো কাজ করেন। 'ইভেন ইট ইজ সামথিং বিগ' তাও সেটা অপরাধ হবে না।'
একটু পরিষ্কার করতে বললে তিনি বলেন, 'পেনাল কোডেই বলা আছে যে, সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম অপরাধ নয়। কিন্তু এখানে শর্ত আছে যে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে কাজটা সরল বিশ্বাসেই করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য কী করা? আপনারা জানেন যে, দুদকের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ। দমনটা অনেক পরে আসে। আমাদের কাজটা মামলা করা না। মূল কাজটা হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। দুর্নীতি যদি হয়েই যায় তাহলে কমিশন থেকেই লাভ কী আর আমাদের থেকেই লাভ কী?'
'এ জন্যই আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য আমাদের যেসব প্রোগ্রাম রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। উনারাও বলেছেন দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ করে প্রাইমারি ও হাইস্কুলে মানসম্মত শিক্ষা, মূল্যবোধ, উৎসবপূর্ণ শিক্ষা যদি না হয় কোনো উন্নয়ন টেকসই হবে না। টেকসই উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি মুক্ত সমাজ দরকার। এ জন্য প্রাইমারি ও হাইস্কুলে মানসম্মত শিক্ষা মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষা যাতে হয় সে ব্যাপারে নজর রাখতে বলা হয়েছে।'
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'জেলা প্রশাসকরা জেলার সার্বিক তত্ত্বাবধান করে থাকে। মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমও তাদের দেখভাল করার জন্য বলেছি। কমিশনের কাজেও গাফলতি বা দুর্নীতি দেখলে সেটা আমাদের বলতে বলেছি। সেটা আপনাদের জানানো দায়িত্ব।'
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যক্তি না প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। আমরা সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।