শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার

ব্যাংক, মোবাইল নেটওয়াকর্ ও ডে কোচ সুবিধাবঞ্চিত
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা
  ৩০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

দেশের সবর্ উত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ার চতুদের্শীয় সম্ভাবনাময় একমাত্র বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে মোবাইল নেটওয়াকর্ নেই, ব্যাংকের কোনো শাখা নেই, নেই দূরপাল্লার কোনো দিবাকালীন পরিবহন ব্যবস্থা। ফলে সম্ভাবনাময় এই স্থলবন্দরটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পড়তে হচ্ছে অসহনীয় ভোগান্তিতে। প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্য অনেককেই প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন ও মোবাইল নেটওয়াকের্র অভাবে সীমাহীন দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে পযর্টকদের।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পযর্টকদের জন্য সরাসরি রাজধানী ঢাকা ও রংপুর বিভাগের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ভালো না থাকায় পযর্টকদের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। কারণ, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর জিরোপয়েন্ট থেকে বাংলাবান্ধা বাসটামির্নালের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার, বাসটামির্নাল থেকে তেঁতুলিয়া সদরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া থেকে পঞ্চগড় জেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। দেশের গুরুত্বপূণর্ একটি স্থলবন্দরের সঙ্গে পঞ্চগড় জেলা শহরসহ দিনাজপুর-রংপুর-বগুড়ার দশর্নীয় স্থান পরিদশের্নর জন্য পযর্টকদের সড়কপথে কোনো বাসসাভির্স যোগাযোগ নেই। এমনকি রাজধানী ঢাকা ও রংপুর বিভাগের সঙ্গে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী ডে কোচ ও নেই। অন্যদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, সিটিসেল, এয়ারটেল এবং রবি নেটওয়াকর্ সংযোগ না পেয়ে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না আগত পযর্টক, ব্যবসায়ীরা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর (ইমিগ্রেশন) দিয়ে পারাপারের যাত্রী, চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদেরও এ অবস্থায় পড়তে হয়। এ ছাড়াও অনেক পযর্টক তার নিদির্ষ্ট ঠিকানায় যোগাযোগ রক্ষা করতে না পেরে বিড়ম্বনায় ভোগেন।

১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেপালের সঙ্গে এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম বাণিজ্য কাযর্ক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কাযর্ক্রম। গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ভুটানের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কাযর্ক্রম।

গত ১৮ ফেব্রæয়ারি, ২০১৬ খ্রি. বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় পূণার্ঙ্গ ইমিগ্রেশন কাযর্ক্রম। ফলে চতুদের্শীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বপ্নের দুয়ার খুলে যায়। এর মধ্যে প্রায় তিন লক্ষাধিক যাত্রী এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করেছেন।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট সাইদুর রহমান জানান, মোবাইল নেটওয়াকের্র কারণে মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়। ইন্টারনেট ইমেইল ব্যবহারের সুবিধা নেই। অনেক আমদানি-রপ্তানিকারক আসতে চান না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএন্ডএফ আলমগীর হোসেন জানান, মোবাইলে নেটওয়াকর্ না থাকার কারণে বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ভারতের মোবাইল নেটওয়াকের্র ওপর নিভর্রশীল। এই বন্দরে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিকমিউনিকেশনের প্রায় ৫০০ সিম ব্যবহার হচ্ছে। এদিকে আমদানিকারক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এলসি করার জন্য ব্যাংকের কোনো শাখা নেই। ৬০ কি. মি. দূরে গিয়ে এলসি করতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<5727 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1