মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রম্নত বিচার আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ছে

নতুনধারা
  ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

বহুল আলোচিত দ্রম্নত বিচার আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য একটি বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। এতে আইনটির মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল 'আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রম্নতবিচার) (সংশোধন) বিল- ২০১৯' জাতীয় সংসদে তোলেন।

পরে বিলটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিএনপি জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে দ্রম্নত বিচার আইন সংসদে পাস হয়। ওই সময় এই আইনের মেয়াদ ছিল ২ বছর। আইনটি পাসের পর সে সময়ের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ব্যাপক সমালোচনা করেছিল। তবে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগও এই আইনটির মেয়াদ দফায় দফায় বাড়িয়েছে। মোট ৬ দফায় এই আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এই আইনের মেয়াদ ৫ বছর বাড়ানো হয়। গত ৯ এপ্রিল আইনটির মেয়াদ শেষ হয়। এই অবস্থায় আইনটির মেয়াদ আবার ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।

আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দসু্যতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রম্নততার সঙ্গে বিচারের জন্য এই আইন। এই আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে এই আইনে মামলার বিচার চলে।

দ্রম্নত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<55389 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1