নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মাইক্রোবাস থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সোনালী ব্যাংকের এক কমর্চারীর লাশ ফেলে গেছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মৌচাক এলাকা থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আব্দুল মান্নান (৫১) সোনালী ব্যাংক প্রধান কাযার্লয়ের চতুথর্ শ্রেণির কমর্চারী ছিলেন। তিনি কুমিল্লার বড়ুরা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সায়েদ আলীর ছেলে।
তার দুইচোখ সাদা টেপ দিয়ে ঢাকা এবং কালো চশমা পরানো ছিল; দুই হাতও বাঁধা ছিল।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, বেলা ১১টার দিকে ঢাকামুখী কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক স্যামস ফিলিং স্টেশনের পাশে এক ব্যক্তির লাশ ফেলে যায় দুবৃর্ত্তরা।
‘ওই ব্যক্তির সঙ্গে একটি কালো রঙের ব্যাগও ছিল। চোখ দুটি সাদা রঙের টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং কালো সানগøাস পরা ছিল। বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
এসআই রফিকুল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আব্দুল মান্নান মাইক্রোবাসে উঠলে দুবৃর্ত্তরা তার কাছ থেকে সবর্স্ব হাতিয়ে নিয়ে বুকে আঘাত করে এবং পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশটি উক্ত স্থানে ফেলে যায়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মগের্ পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাকের্ল-ক) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার লাশ মাইক্রোবাস থেকে ফেলে গেছে দুবৃর্ত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে পূবর্শত্রুতার জের ধরে অথবা মলম পাটির্ বা অজ্ঞান পাটির্ তাকে হত্যা করতে পারে।
‘তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাগানো সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’
সোনালী ব্যাংক প্রধান কাযার্লয়ের প্রিন্সিলপাল অফিসার বজলুর রহমান বলেন, সকালে আব্দুল মান্নান অফিসে এসে কাজ করেছেন। সকাল ১০টায় তিনি অফিস থেকে বের হয়ে যান।
তিনি জানান, মান্নানের গ্রামের বাড়িতে ভোট হবে বলে তিনি মঙ্গলবার একদিনের জন্য ছুটিও নিয়েছিলেন। এরপর পুলিশের মাধ্যমে তার মাইক্রোবাস থেকে লাশ ফেলে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। আব্দুল মান্নান খুবই নিরীহ ছিলেন বলে তিনি জানান।